জল্পনা-কল্পনা চলছে হেফাতের পরবর্তী আমির পদ নিয়ে
আমোদ ডেস্ক।।
বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক), হেফাজতে ইসলাম ও আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়ার প্রধান ছিলেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। ১৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) তার মৃত্যুর পর গুরুত্বপূর্ণ এই তিন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের নেতৃত্বে কে আসবেন- তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
এ পরিস্থিতিতে শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নাগাদ আহমদ শফীর দাফন হওয়ার পর বিভিন্ন দোয়া কর্মসূচি পালনের পরই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা শুরু হবে বলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের আলেমদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
শুক্রবার এ বিষয়ে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে বলেন, আহমদ শফীর মৃত্যুর পর হেফাজতে ইসলামের পরবর্তী আমির কে হবেন তা কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে।
শফীর মৃত্যুতে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রভাব তো পড়বেই। হুজুরের মতো তো আর মানুষ পাওয়া যাবে না। আমার দায়িত্ব হলো এখন কাউন্সিল ডাকা। কাউন্সিল যে সিদ্ধান্ত নেবে ওটাই হবে। আসা করি আমরা আগের মতো সব সামলে নিতে পারবো। কিছুটা সময় লাগবে।
গত এক বছরের বেশি সময় ধরে অনেকটাই অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন আহমদ শফী। দফায়-দফায় তাকে চট্টগ্রামে ও ঢাকার আসগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ গত জুনে হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় সহকারি পরিচালকের পদ থেকে হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে আহমদ শফীকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। এরইমধ্যে জুলাইয়ে আহমদ শফী ও বাবুনগরী একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের কথা জানান। এরপরও গত একমাসে আবারও পরিস্থিতি অবনতির দিকে যেতে থাকে। সর্বশেষ গত বুধবার হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় বিক্ষোভ করার প্রেক্ষিতে আনাস মাদানীকে মাদ্রাসা থেকে অপসারণ ও আহমদ শফীকে মহাপরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
ঢাকার একটি ইসলামী দলের একজন সিনিয়র নেতা বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে নির্ধারণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’