ধর্ষণ মামলার রহস্য উদঘাটন করে পুরষ্কৃত ওসি ফিরোজ
আবদুল্লাহ আল মারুফ ।।
কুমিল্লার বরুড়ার শাকপুর গ্রামের রাফির (২১) সাথে কুমিল্লা সদরের এক তরুণীর (১৯) ফেসবুকে পরিচয় হয়। তারা দু’জন কুমিল্লা ইপিজেডের গার্মেন্টস শ্রমিক। পরিচয়ের পর প্রেম। গত ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় ছেলের বাড়ি বরুড়ার শাকপুরের বাড়িতে আসে মেয়েটি। রাত সাড়ে ১০টায় রাফির মা-বাবা তরুণীকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে ফেরার পথে শাকপুর ইঞ্জিনিয়ার গেইটের সামনে গতিরোধ করে কয়েকজন তরুণ। তারা তরুণীকে পাশের একটি বাগান বাড়িতে নিয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত ধর্ষণ করে। সেই রাতে তরুণী বরুড়া থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। ২৬ এপ্রিল সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালককে আটক করে পুলিশ। তার সূত্র ধরে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। মেয়ের বাবা প্রেমিক রাফিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তিন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তরুণীর অভিযোগ এতে রাফির হাত রয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আসামিরা হলেন, বরুড়ার শাকপুর গ্রামের রুবেল (২৭), শামিম (২৩) ও জাকির (৩৫)।
এই ধর্ষণ মামলার রহস্য উদঘাটন করে কুমিল্লা জেলায় মামলার রহস্য উদঘাটনে শ্রেষ্ঠ টিম নির্বাচিত হয়েছেন বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আহম্মদ ও থানার টিম। বৃহস্পতিবার (১১ মে) কুমিল্লা জেলা পুলিশের কল্যাণ সভা ও মাসিক অপরাধ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান ওসি ফিরোজ ও তার টিমকে পুরষ্কৃত করেন।
এর আগে, বরুড়া থানা এলাকায় ২১টি মামলার পলাতক আসামি মনির হোসেন ওরপে মনির ডাকাতকে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতার করায় পুলিশের আইজিপিও পুরষ্কৃত করেন।
পুরষ্কার পেলে কাজের অনুপ্রেরণা আসে বলে উল্লেখ করে বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আহম্মদ বলেন, মানুষের সেবায় কাজ করা আমাদের দায়িত্ব। এর মাঝেও প্রত্যেক ভালো কাজের স্বীকৃতি অনুপ্রেরণা যোগায়। কাজে আরো গতি বাড়িয়ে দেয়। এই অর্জনে আমি মাননীয় আইজিপি মহোদয় এবং জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এছাড়াও বরুড়া থানার সকল অফিসার ও ফোর্সকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।