‘পাঙ্গাস তেলাপিয়া মাছ ও ব্রয়লার মুরগি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়’

প্রতিনিধি।।
পাঙ্গাস, তেলাপিয়া মাছ ও ব্রয়লার মুরগিতে কোন সমস্য নেই। চাষের মাছেও কোন সমস্যা নেই। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে কোন অসাধু ব্যবসায়ী অস্বাস্থ্যকর কিছু প্রয়োগ করে কিনা সে বিষয়ে নজরদারী করতে হবে। খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বুধবার কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট(বারটান) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়(নোয়াখালী সুবর্ণচরে অবস্থিত) আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব তথ্য জানান। সুস্বাস্থ্যের জন্য ফলিত পুষ্টি শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা আরো বলেন,মেধাসম্পন্ন জাতি গড়তে সুষম ও বৈচিত্র্যপূর্ণ খাদ্যাভাস গড়ে তুলতে হবে। প্রতিদিন একজন প্রাপ্ত বয়স্ককে ১০০গ্রাম শাক,২০০গ্রাম মিশ্র সবজি,১০০গ্রাম মৌসুমী ফল খেতে হবে। বিশুদ্ধ পানি খেতে হবে ৬-১৪গ্লাস। দিনে অন্তত: ৩০মিনিট ব্যায়াম,সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে ৩০মিনিট রোদে থাকতে হবে।
বারটানের নির্বাহী পরিচালক রেহেনা আকতারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া,কুমিল্লা বার্ডের পরিচালক আবদুল্লাহ আল-মামুন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন,বারটানের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফারজানা রহমান ভূঞা। সঞ্চালনা করেন বারটান চট্টগ্রাম আঞ্চলিক অফিসের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নূর আলম সিদ্দিকী।
বক্তব্য রাখেন বারি কুমিল্লার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মো. হায়দার হোসেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মো. আলমগীর সিদ্দিকী, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড,মুক্তার হোসেন ভূঞা, কুমিল্লার আঞ্চলিক কৃষি তথ্য কর্মকর্তা মনিরুল হক রোমেল, ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ মামুনুর রশিদ, ইসলামী ফাউন্ডেশন কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আশেকুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন,জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কমার পোদ্দার প্রমুখ।
