তীব্র গরমে চৌদ্দগ্রামে বেড়েছে তালের শাঁসের চাহিদা

 

inside post

 প্রতিনিধি।।
তীব্র গরমে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বেড়েছে তালের শাঁসের চাহিদা ও বিক্রি। তৃষ্ণা নিবারণ ও দেহ শীতল করে বিধায় ভ্রাম্যমাণ দোকান গুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
চৌদ্দগ্রামের বিভিন্ন বাজার ও জনবহুল এলাকায় ভ্যানগাড়ি ও সড়কের একপাশে দোকান সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকায় বেশ কয়েক জায়গায় তালের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। কালের বিবর্তনে দেশে তাল গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় ও মৌসুমের শুরু বিধায় দাম অনেকটা বেশি।
সোনালী ব্যাংকের সামনের মৌসুমি তালের শাঁস ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন বলেন, ‘প্রতি বছর আমি তাঁলের শাঁস বিক্রি করি। বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে গাছ প্রতি চুক্তি মূল্য নির্ধারণ করে ক্রয় করে ভ্যানে উপজেলা সদরে আসি। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বড় ছোট অনুসারে ২০/৩০ টাকা বিক্রি করে থাকি। এতে প্রতি তালে ১০-১৫ টাকা লাভ হয়।’

প্রাইম ব্যাংকের গলির মুখে বিক্রেতা হযরত আলী বলেন, ‘এখন তেমন তাল গাছ নাই। তাই চাহিদা অনুযায়ী তাল মিলছেনা। গ্রামাঞ্চল যা সংগ্রহ করে নিয়ে আসি; কেউ একটু তরল, আবার কেউ একটু শক্ত শাঁস পছন্দ করেন। প্রতিদিন ৩০০-৪০০ তাল বিক্রি হয়।’
ফুটপাথে দাঁড়িয়ে থাকা ডেউটিন বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রচন্ড গরমে স্বস্তি পেতে তালের শাঁস খাচ্ছি। বাজারের সব ফল ফরমালিনে ভরা। এই প্রাকৃতিক রসালো ফল খেয়ে তৃপ্তি পেয়েছি।’

ভ্যানচালক মনির হোসেন বলেন, ‘এটা অনেক স্বাদের ফল। সারাদিন রোদের মধ্যে ভ্যান চালিয়ে শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। এটা খেয়ে অনেক ভাল লাগে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ রশিদ আহমেদ চৌধুরী জানান, ‘তালের শাঁসের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুন। এতে রয়েছে খনিজ পদার্থ, শর্করা, আমিষ ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে ভূমিকা রাখে।’

আরো পড়ুন