বন্ধ দক্ষিণ কান্দিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

 

inside post

এক একে এক। দুই একে দুই। এইসব বাক্য কোরাস হয়ে ভাসতো বাতাসে। শিশুদের কলরবে মুখর থাকতো চারপাশ। কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ কান্দিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে আর শোনা যায় না শিশুদের কণ্ঠস্বর। অযত্ন অবহেলায় স্কুলটি এক দশক ধরে বন্ধ। স্কুলের টিনের ভবনটির মাঝ দিয়ে ফাঁক হয়ে গেছে। বার্ধক্য ভর করা ভবনটি যেকোন সময় হেলে পড়তে পারে। পরিত্যক্ত বাড়িটি এক সময় যে স্কুল ছিলো তাও এলাকার অনেক ভাড়াটিয়া জানেন না। স্কুলটির অবস্থান ঠাকুরপাড়া মদিনা মসজিদ রোডে। সেটির উত্তর পাশে উত্তর ঠাকুরপাড়া কালীতলা কালী মন্দির। এনিয়ে গত সপ্তাহে সাপ্তাহিক আমোদ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সংবাদে উল্লেখ করা হয়,টিনের ভবনটি হেলে গেছে। একটি সাইনবোর্ড রয়েছে স্কুলের। সেটির উপর এক দশক সময়ের ধূলো জমেছে। স্কুলের নাম পড়া গেলেও সালটি সময়ের ধূলোয় মুছে গেছে। তবে এটি ৭০এর দশকে নির্মিত বলে জানা গেছে।

স্কুলের নিকটে বাসা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শান্তিরঞ্জন ভৌমিকের। তিনি বলেন, তিনি এই এলাকায় ৩৫ বছরের মতো সময় ধরে বসবাস করেন। এক সময় শিক্ষার্থীদের দুরন্তপনায় মুখর থাকতো এলাকা। ১০বছর ধরে স্কুলটি বন্ধ। সেটি নতুন ভবন করে চালুর দাবি জানান তিনি।

সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সাবেক সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন,প্রাথমিক বিদ্যালয়টি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এলাকার ছেলে-মেয়েসহ নিম্ন আয়ের পরিবারের শিশুরা শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে। আগামী শিক্ষা বছরের আগে সেটি চালুর উপযোগী করার আবেদন জানাচ্ছি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল মান্নান বলেন,স্কুলটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। সেটি আমাদের নলেজে রয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষে সেটি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া এখানে নতুন ভবন করার আবেদন জানানো হয়েছে।

আমরা লক্ষ্য করেছি,জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে স্কুলটির দূরুত্ব সর্বোচ্চ দুই কিলোমিটার। কর্তৃপক্ষ আন্তারিক হরে স্কুলটি বন্ধ হতো না। এছাড়া ঠাকুরপাড়ার এই এলাকায় অনেক নিম্নবিত্তের বসবাস। তাদের পক্ষে টাকা খরচ করে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব নয়। ওই স্কুলটি আবার শিক্ষার্থীদের কলরবে মুখর হয়ে উঠবে এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।

 

 

আরো পড়ুন