বিদায় বেলায়ও বললেন রোবটিক্সের কথা
অফিস রিপোর্টার।।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, আমি কুমিল্লার স্কুল কলেজ গুলোতে রুটিনের বাইরে গিয়ে ঘুরেছি। ক্লাস নিয়েছি। দেখেছি এখানকার শিক্ষার্থীরা ক্ষুরধার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪১ সালের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও তাদের সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে রোবটিক্স নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। কাজ হয়েছে। কুমিল্লার প্রত্যেক উপজেলায় রোবটিক্স নিয়ে কাজ চলছে। এই প্রথম কুমিল্লায় কোন রোবট তৈরি করা হলো যার প্রত্যেকটি পার্টস নিজেদের তৈরি করা। যার নাম নিকো। এটি ছবি দেখেই মানুষের বায়োডাটা বলে দিতে পারে।
সাংবাদিকদের সাথে বিদায়ী মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। তিনি বুধবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ৭মার্চ কুমিল্লায় জেলা প্রশাসক হিসেবে আসেন মোহাম্মদ কামরুল হাসান। সারাদেশে প্রথমবারের মতো রোবটিক্স স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এ জেলায় ১০৮টি রোবটিক্স ও প্রোগ্রামিং ক্লাব রয়েছে। এ অবদানের জন্য তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে এ বছর দলগতভাবে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক পান। তিনি ডিজিটাল এক্সিলেন্স ক্যাটাগরিতে শেখ রাসেল পদক-২০২২ পদকে ভূষিত হন। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে চট্টগ্রাম বিভাগে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে কুমিল্লা জেলা। এই অর্জনের স্বীকৃতি স্বরূপ গত ১৬ অক্টোবর জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উপলক্ষে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতীয় সম্মাননা সনদ গ্রহণ করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
মতবিনিময় সভা শেষে ডিসি কামরুল হাসান জেলা প্রশাসনের ফ্যাব ল্যাবে তৈরি করা রোবট নিকো সাংবাদিকদের দেখান। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) কাবিরুল ইসলাম খান,আদর্শ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা, সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস ঘোষ, কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নারগিস আক্তার, ডা. আরিফ মোর্শেদ খান ও বরুড়ার ভবানীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান,রোবট নির্মাতা দলের প্রধান সনজিত মণ্ডল প্রমুখ।
খ্যাতনামা চিকিৎসক ডা. আরিফ মোর্শেদ খান বলেন,চিকিৎসাখাতে প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। কুমিল্লার শিক্ষার্থীদের রোবট তৈরির এই উদ্যোগ আমাদের আশাবাদী করে তুলছে। একদিন আমাদের কার্যক্রমেও রোবট ভূমিকা রাখবে।
কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নারগিস আক্তার বলেন, জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ কুমিল্লার শিক্ষাঙ্গনে নতুন দিনের সূচনা করেছে। শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান মনষ্ক হয়ে জাতিকে আরো এগিয়ে নেবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে।