বীরমুক্তিযুদ্ধা রাখাল নাহাকে মুক্তির দাবি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর
আমোদ প্রতিনিধি।।
দেশ আইনের শাসনে চলা উচিত। বীরমুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহার মৃত্যু যেনো কারাগারে না হয়। তার শারিরীক অবস্থা খুবই খারাপ। আইনানুযায়ী একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা যে কোন একটি অপরাধ থেকে ক্ষমা পেতে পারেন। কিন্তু নাহা আইনের অধিকার ঠিকঠাক পাননি। ৩০ বছর তার সাজা হয়েছে, তিনি ২৯ বছর জেলে ছিলেন। এ হাসপাতাল থেকে নাহাকে যেনো বাড়ি পাঠানো হয়। তার মৃত্যু স্ত্রী-সন্তানদের সামনে যেন হয় এ আশা করছি। মঙ্গলবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি বীরমুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহাকে দেখতে কুমিল্লায় এসে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম এ মন্তব্য করেন।
এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আরো বলেন, কুমিল্লার দেবিদ্বারের রাখাল চন্দ্র নাহা একটি ষড়যন্ত্রমূলক খুনের মিথ্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিল। যা ১৯৯৯ সালের একটি হত্যা মামলা, ঘটনার দিন নাহা বাড়ি ছিলেন না। অথচ ২০০৩ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়। আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন করি তার সাজা মওকুফ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রেয়াতসহ নাহার মুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে ২০১৫ সালে সালে। অথচ সে মুক্তি পায়নি। তার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। আমি তার বাড়িতে গিয়েছি। সব জেনে বুঝে বলছি নাহার কোন অপরাধ নেই। তাকে দ্রুত মুক্তি দিন।
রাখাল চন্দ্র নাহার ছেলে সঞ্জয় চন্দ্র নাহা বলেন, বাবার শারিরীক অবস্থা খুবই খারাপ। তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কারাবন্দী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। ২০২৩ সালের জুন মাসে তিনি মুক্তি পাবেন। তবে সে পর্যন্ত তিনি বাঁচবেন না। শেষ জীবনের কয়েকটা দিন পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা তার সেবা করতে চাই। তার মৃত্যুটা যেনো আমাদের সামনে হয়, আর কোন চাওয়া নাই।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দেবিদ্বারের হোসেনপুরে ধীনেশ চন্দ্র দত্তকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবেশী ধীনেশ চন্দ্র দত্তকে হত্যার অভিযোগে রাখাল চন্দ্র নাহা ও তার ভাই নেপাল চন্দ্র নাহার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে নিহত ধীনেশ চন্দ্র দত্তের পরিবার। নেপাল চন্দ্র নাহা পালাতক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। রাখাল চন্দ্র নাহার সাজা হয়। ২০২৩ সালের জুন মাসে ৩০ বছর পূর্ণ হলে তিনি মুক্তি পাবেন।