কুসিক নির্বাচনে ইভিএম নয়,পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলি দাবি

 

 

আমোদ প্রতিনিধি।।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন(কুসিক) নির্বাচনে ইভিএম বাতিল করে ব্যালটে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দীন কায়সার। এছাড়া তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলি দাবি করেছেন। এসময় তিনি আরও পাঁচটি দাবি উত্থাপন করেন। মঙ্গলবার বিকেল ধর্মসাগর পাড়ের তার নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা এস এ বারী সেলিম,এস এম রহমান, কুমিল্লা আইন কলেজের সাবেক ভিপি মনিরুল ইসলাম বাচ্চু, বিএনপি নেতা আতাউর রহমান ছুটি, যুবদল নেতা ইলিয়াছ খান রাজু প্রমুখ।

তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌর নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ ছিলনা। দিনের ভোট রাতে, কেন্দ্র দখল ও ভোটার শূন্য কেন্দ্র ছিল। যেকারণে জনগণের মধ্যে এখনও সেই ভয়, আতঙ্ক ও সন্দেহ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কুমিল্লায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে কিছু মোটরসাইকেল আটক ছাড়া অন্য কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি।

তিনি বলেন, ইভিএম-এ ভোটের ফলাফল পাল্টিয়ে দেয়া হবে বলে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের নিয়ে এ ব্যাপারে কোন আলোচনা ব্রিফিং কিংবা বিস্তারিত কোন কিছুই তুলে ধরেনি। তাই আমরাও এ বিষয়ে কিছু জানিনা। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে স্বচ্ছ ব্যালট বক্সে ভোট গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কর্মরত পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার, পরিদর্শক,উপ-পরিদর্শক ও মাঠ প্রশাসনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নির্বাচনকালীন (প্রতীক বরাদ্দের পূর্বেই) বদলির দাবি জানাচ্ছি।

এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী কায়সার প্রার্থীরা তাদের স্ব-অবস্থানে থেকে সিসি ক্যামেরা মনিটরিং করা, নির্বাচনের সময় পর্যন্ত আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়া কোন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার না করার নির্দেশনা প্রদান করা, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচন কমিশনের দুই সদস্যের কয়েকটি টিম কুমিল্লায় অবস্থান নিশ্চিত করা ও ম্যাসেঞ্জারসহ অন্যান্য অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন।

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মেনেই আপনি নির্বাচনে এসেছেন কিন্তু এখন কেন ব্যালট-এ চাচ্ছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে ভোটারদের মনে শঙ্কা এখনও কাটেনি। আমরা যারা প্রযুক্তি সম্পর্কে জানি, চাইলেই ইভিএমে মন মতো ফলাফল তৈরি করা যায়। তবে যদি প্রত্যক ভোটারের ভোট প্রদানের প্রিন্ট কপি আলাদা ব্যালটে রাখা যায় তবেই ভোটারদের আস্থা ফিরবে। যদি ইভিএম কোন কারণে হ্যাং করে তাহলে ঐ প্রিন্ট কপি গণনা করে ফলাফল নির্ণয় করা যাবে।