বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ের বিরুদ্ধে উল্টো হামলার মামলা!


প্রতিনিধি।।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ব্যক্তিকে ছাত্র জনতার ওপর হামলা মামলার আসামি করা হয়েছে।
তিনি সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা কাজী ফখরুল আলম বাবুল। জুলাই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। সেই ফখরুল আলমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে। এতে কুমিল্লায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে সামাজিক যোগাযেগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
শুক্রবার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম।

এদিকে ফখরুল আলম বাবুলের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতাকর্মী জানান, ফখরুল ইসলাম বাবুল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তিনি নিজে শুধু আন্দোলনে যাননি তার সন্তানদেরকেও এই আন্দোলনে যুক্ত করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে মামলার হওয়ায় বিষয়টি কেউ মেনে নিতে পারছেন না।
সূত্র জানায়,কুমিল্লা পুলিশ লাইন এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনায় সদরের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারসহ ২৬১ জনের নাম উল্লেখ করে সদরের ডুমুরিয়া চান্দপুর গ্রামের মো. ইনজামুল হক রানা বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় গেলো বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি ) এই মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ২৩৫ নম্বর আসামি করা হয়েছে কাজী ফখরুল আলম বাবুলকে।
এদিকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থাকার পরও মামলার আসামি হওয়ায় অবাক হয়েছেন সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা কাজী ফখরুল আলম বাবুল। তিনি জানান, ৩ অগাস্ট পুলিশ লাইনস এলাকায় শিক্ষার্থীদের উপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে সেদিন তিনি ঢাকায় ছিলেন। সেখানে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তার ফেসবুকে ছবি ভিডিওসহ সব তথ্য প্রমাণ আছে। তবুও কেন তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তিনি তা জানেন না।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মো. ইনজামুল হক রানার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, আমরা আসামিদের বিষয়টি যাছাই করে দেখবো। নিরাপদ কাউকে হয়রানি করা হবে না।