ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী ক্রমেই ফুঁসে ওঠছে
রেলস্টেশন দ্রুত চালুর দাবীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধনে আল্টিমেটাম ঘোষণা
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
হেফাজতের তাণ্ডবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন অচল। দু’মাসেরও বেশি সময় ধরেই বিরাজমান অচলাবস্থা। দুর্ভোগে লাখো মানুষ। ন্যায্য দাবীতে সোচ্চার ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী ক্রমেই ফুঁসে ওঠছে। আগামী ২০ তারিখের পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের উপর দিয়ে কোনো প্রকার ট্রেন চলাচল করতে দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে। শনিবার (৫ জুন) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলস্টেশন দ্রুত চালু ও রেল যোগযোগ পুনঃস্থাপনের দাবীতে সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন প্লাটফর্মে আয়োজিত মানববন্ধনে সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহ্বায়ক আবদুন নূরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নাসির, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট অসীম কুমার বর্দ্ধন প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিনেও হেফাজতের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন সচল করা হয়নি। রেল যোগযোগ পুনঃস্থাপন করা হচ্ছে না। এমনিক কোনো ট্রেন যাত্রা বিরতিও করছে না। এতে করে জেলার ৩০ লাখেরও বেশী মানুষ দুর্ভোগে রয়েছেন। বক্তারা অবিলম্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলস্টেশন সংস্কার করে রেল যোগযোগ পুন:স্থাপনের জোর দাবী জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি উচ্চারণ করাসহ আগামী ২০ জুনের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনের উপর দিয়ে কোনো ট্রেন চলাচল করতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেন। মানববন্ধন শেষে আন্দোলনকারীরা রেলপথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফর ঘিরে গত ২৬ মার্চ হেফাজতের তাণ্ডব চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন ব্যাপক ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের শিকার হয়