ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে পিতা-পুত্রকে মারধর 

inside post
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
পূর্ব শত্রুতার জেরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে পিতা-পুত্রকে এলোপাথারি পিটিয়ে-কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষীয়রা। এসময় লুটে নিয়েছে নদগ টাকা-মোবাইল ফোনসেট। গুরুতর আহত কালু মিয়াকে(৪০) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকাধীন আমিনপুরস্থ জেলা পরিষদ মার্কেট সংলগ্ন কালু মিয়ার ফার্নিচার দোকানে এই হামলা-মারধরের ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এলাকাবাসী এবং সদর মডেল থানায় রজুকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমিনপুর গ্রামের মৃত সমুজ আলীর পুত্র কালু মিয়ার সাথে দক্ষিণ পৈরতলা মহল্লার (ওয়াসাক আলী বাড়ি) হিরণ মিয়ার পুত্র আইয়ুব মিয়া গংদের পূর্ব শত্রুতা বিরাজমান ছিলো। গত মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টম্বর) দুপুর দুইটার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে আইয়ুব মিয়ার নেতৃত্বে ১৫/১৬ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পৌর এলাকার আমিনপুরস্থ জেলা পরিষদ মার্কেটের পশ্চিম পার্শ্বস্থ কালু মিয়ার ফর্নিচারের দোকানে অতর্কিত হামলা করে। এসময় দোকানে থাকা কালু মিয়ার পুত্র সাগর মিয়াকে হামলাকারীরা এলোপাথারি মারধর করতে থাকে। আর্তচিৎকার শুনে পুত্রকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা কালু মিয়ার উপর চড়াও হয়। হামলাকারীরা কালু মিয়ার মাথায় কোপানো, দু’টি দাত স্থানচ্যুত করাসহ বেধরক মারধর করাসসহ দোকানে থাকা নগদ পাঁচ হাজার দুইশ’ টাকা এবং ১৫ হাজার টাকা মূল্যমানের একটি মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নেয়। পিতা-পুত্রের শোরচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে হামলাকারীদের কবল থেকে তাদের উদ্ধার করে আহতাবস্খায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কালু মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার্থে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনায় কালু মিয়ার স্ত্রী আছমা আক্তার বাদী হয়ে দক্ষিণ পৈরতলার (ওয়াসাক আলী বাড়ির) হিরণ মিয়ার দুই পুত্র আইয়ুব মিয়া (৩৫)ও রাশেদ মিয়া (৩০), ফয়েজ মিয়ার পুত্র শফিক (৩০), নূর ইসলামের পুত্র দানু (৪০), জিলু মিয়ার পুত্র মাসুক (৩৫) এবং হেলন মিয়ার পুত্র রাজিব (৩৫) এই ছয়জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জন হামলাকারীর বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ বাদীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন, তদন্তক্রমে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরো পড়ুন