ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লতি গোষ্ঠীর সাথে মুন্সী গোষ্ঠির সংঘাত; নিহত এক
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে গোষ্ঠিগত বিরোধের জেরে গভীররাতে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হলেন উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাই জামাল মুন্সী (৫০)। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে সাতজনকে। পরবর্তী সংঘাত এড়াতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) গভীররাতে উপজেলার চর চারতলা গ্রামে ঘটে এই নৃশংসতা। নিহত জামাল মুন্সী আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক মো.হানিফ মুন্সীর ছোট ভাই এবং চরচারতলা গ্রামের ফজলুল হক মুন্সীর ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় বিরাজ করছে চাপা উত্তেজনা।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, চরচারতলা গ্রামের লতি গোষ্ঠীর লোকদের সাথে মুন্সী গোষ্ঠির লোকদের দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্ধ-সংঘাত বিদ্যমান ছিলো। একই গ্রামের বিবাদমান দুই গোষ্ঠির মধ্যেকার এই গোষ্ঠিগত দ্বন্ধের জেরে শুক্রবার দিবাগত রাত অনুমান একটার দিকে লতি গোষ্ঠির কতিপয় লোক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জামাল মুন্সীর উপর অতর্কিত হামলা করে। তাদের এলোপাথারি আক্রমনে জামাল মুন্সী গুরুতর আহত হয়। শোরচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে জামাল মুন্সীকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করাসহ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতজনকে আটক করে। লাশ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত সম্পন্নের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শনিবার বিকেলে নিহতের নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছেন। এদিকে প্রতিপক্ষীয়দের হামলায় জামাল মুন্সী নিহত হবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরবর্তী সংঘাত এড়াতে চরচারতলা এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
আশুগঞ্জ থানার পরিদশর্ক (ওসি) জাবেদ মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।’