বড় দুই দলে চার প্রার্থী! সাধারণ ওয়ার্ডে ১২০জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৮জন প্রার্থী
অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন(কুসিক) নির্বাচনের মনোনয়ন সংগ্রহ ও দাখিলের শেষ দিন মঙ্গলবার পর্যন্ত ছয়জন মেয়র প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তারা হলেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত। কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর পক্ষে ছোট ভাই আইনজীবী কাইমুল হক রিংকু মনোনয়নপত্র জমা দেন। একই দিনে স্বতন্ত্রের ব্যানারে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার। বিকালে মনোনয়নপত্র প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ আফজল খানের ছেলে কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ পারভেজ খান ইমরানের পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন জসিম উদ্দিন।
মোট প্রার্থী আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহীসহ ২ জন, বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র্র প্রার্থী ২ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাশেদুল ইসলাম, নাগরিক ফোরাম সংগঠনের ব্যানারে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল।
এদিকে ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১২০জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫নং ও ১০নং ওয়ার্ডে একজন করে জমা দিয়েছেন। বেশি জমা দিয়েছেন ৩নং ও ২৩ নং ওয়ার্ডে ৮জন করে। সংরক্ষিত ৯টি ওয়ার্ডে জমা দিয়েছেন ৩৮জন। বেশি ৬জন জমা দিয়েছেন ১নং ওয়ার্ডে।
নির্বাচন অফিসের সামনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত সাংবাদিকদের বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ। আমাদের কোনো গ্রুপিং নেই। সবাই এক হয়ে কাজ করে বিজয় ছিনিয়ে আনবো। মাদকের পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এসব ভিত্তিহীন সংবাদ। আমরা মামলা দায়ের করেছি।
আওয়ামী লীগের বিদ্্েরাহী মাসুদ পারভেজ খান ইমরান জানান, দলীয় নেতাকর্মীরা চান আমি নির্বাচন করি। গত ১০ বছরে কুমিল্লায় দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয়নি। আমি আশাবাদী, জনগণ আমাকে নির্বাচিত করবে। শেষ পর্যন্ত আমি মাঠে থাকব।
মনিরুল হক সাক্কুর পক্ষে মনোনয়ন দাখিল করেন তার ভাই আইনজীবী কায়মুল হক রিংকু। তাকে তার দলের অন্য প্রার্থী বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ওই বিষয়ে কোন কথা বলতে চাই না। কুমিল্লায় সাক্কুর মতো নেতা তৈরি হতে আরও পঞ্চাশ বছর লাগবে। তিনি দুইবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। জনগণ এবারও তার কাজের প্রতিদান দেবে। আরো পরে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং মাঠ নিয়ে কথা বলবো।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, তিনি (মনিরুল হক সাক্কু) বিএনপিকে ধারণ করেন না। বিএনপিও তাকে এখন ধারণ করে না। তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেন। গত ১০ বছরে তিনি কুমিল্লার তেমন উন্নয়ন করতে পারেননি। মানুষ পরিবর্তনে বিশ্বাসী। আশা করি, জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তি ঐক্রবদ্ধ হয়ে আমাকে বিজয়ী করবে।
তফসিল অনুযায়ী, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৭ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৯ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৬ মে। প্রতীক বরাদ্দ ২৭ মে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ জুন। এবার দুই লাখ ২৯ হাজার ভোটার ইভিএম পদ্ধতিতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।