মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যরিস্টার ও ব্যবসায়ীরা

inside post

কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া)আসন:

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া)আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির তিনজন,জামায়াত, স্বতন্ত্র ও এবি পার্টির একজন করে প্রার্থী। প্রার্থীদের মধ্যে পেশায় তিনজন ব্যরিস্টার ও তিনজন ব্যবসায়ী।
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি,দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মো. জসিম উদ্দিন,বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ টি এম মিজানুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগত আইনজীবী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা ব্যরিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোটের মাঠে সরব রয়েছেন জসিম উদ্দিন ও এ টি এম মিজানুর রহমান। মাঠে নেমেছেন আবদুল্লাহ আল মামুন। এদিকে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও দলের শুরা সদস্য ড. মোবারক হোসেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন ব্যরিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী। এবি পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরুণ ব্যরিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন,গত ৩০বছর ধরে কুমিল্লা-৫ আসনে রাজনীতি করে আসছি। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্যের ভোটের মাঠে বিজয়ী করতে আমরাই ভূমিকা রেখেছি। দলের দুর্দিনে মাঠ ছাড়িনি। হামলা মামলার স্বীকার হয়েছি। অনেকে হঠাৎ এসে মাঠে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইবে। এতে মানুষ বিভ্রান্ত হবে না। কারণ মানুষ জানে ওরা অতিথি পাখি। দলের নেতকর্মী ও সাধারণ মানুষ আমার সাথে রয়েছে। দলের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে এই আসনের শিক্ষা,যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করবো।
প্রধান উপদেষ্টার আইন উপদেষ্টা ব্যরিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,ছাত্রজীবন থেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত আছি। কর্মজীবনে গিয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাথে জড়িত হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার মানুষ আজ অবহেলিত। গত ১৫ বছরে দুই উপজেলায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এই এলাকার মানুষের দু:খ দূর করতে চাই। এই এলাকার মানুষ মাদকের আগ্রাসন থেকে মুক্তি পেতে চায়। সে নিরিখেও কাজ করবো।
জামায়াতের ড. মোবারক হোসেন বলেন,দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের বার্তা নিয়ে মানুষের বাড়িতে যাচ্ছি। মানুষও ব্যাপক সাড়া দিচ্ছেন। তারা আর দুর্নীতিবাজ নেতা দেখতে চান না। তারা চান তাদের উন্নয়ন বরাদ্দ যেন কেউ লুট না করে। মানুষ তো বিভিন্ন দলের প্রার্থীকে পূর্বে নির্বাচিত করেছে এবার তারা জামায়াতের প্রার্থীকে সংসদে দেখতে চায়।
ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি আজ এক সঙ্কটময় সময়ে দাঁড়িয়ে। দীর্ঘদিনের দলীয় রাজনীতির সংঘাত ও বিভাজনে সাধারণ মানুষ আশাহত। এই বাস্তবতায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের পরিকল্পনা করেছি। শিক্ষানুরাগী পরিবার হিসেবে মানুষ আমাদের পাশে রয়েছেন।
সুযোগ পেলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো উন্নয়ন, নদীভাঙন, বেকারত্ব, স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতির সমস্যা সমাধানে কাজ করবো।
উল্লেখ্য-বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে কুমিল্লা-৫ সংসদীয় আসনটি গঠন করা হয়েছে। ভোটার ৪লাখ ৭১হাজার। ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগ থেকে, ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টি এবং ২০০১ সালে বিএনপি থেকে এমপি নির্বাচিত হন প্রয়াত নেতা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউনুস। ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের এমপি নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আডভোকেট আবদুল মতিন খসরু,২০২১সালে উপনির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় আওয়ামী লীগের আবুল হাশেম খান এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে মফিজুল ইসলাম এবং ২০২৪ সালে এম এ জাহের স্বতন্ত্র এমপি নির্বাচিত হন।

আরো পড়ুন