মিছিলে হামলায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৫০০জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র ঐক্যের মিছিলে হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৫০০ জনকে আসামি করে মামলার আবেদন করা হয়েছে। রবিবার এই তথ্য জানিয়েছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ তাপস কুমার বকসী।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়,কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার প্রদত্ত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব সম্পর্কে কটুক্তি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ায়, মুন্সীগঞ্জের জাতীয় সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাসকে স্থানীয় মেয়র প্রকাশ্যে সাম্প্রদায়িক গালমন্দ, হুমকি দেওয়ায়, চারণ কবি রাধা রমণকে মারধর, সারাদেশে দুর্গামূর্তি ভাংচুর, সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৩ অক্টোবর এক প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করা হয়। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে কান্দিরপাড় অভিমুখে রওয়ানা হই। এসময় পুলিশ আমাদের মিছিলটি করভবনের সামনে বাধা প্রদান করে। অগ্রসর না হয়ে ফিরে আসতে থাকলে হঠাৎ অজ্ঞাতনামা আসামিরা অস্ত্র, রড, লাঠি, ইট, পাথর সজ্জিত হয়ে ইট পাথর নিক্ষেপ করতে করতে আমাদের মিছিলটি ধাওয়া করে। তখন মিছিলে অংশগ্রহণকারী মহিলা, পুরুষ সদস্যদের এলোপাথারী বেধড়ক নির্বিচারে মারপিট করে বহু লোককে জখম করে। এক পর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আক্রমণ করার সময় এবং আক্রমণ শেষে যাবার সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ব্যানার ব্যবহার করে হামলাকারীরা স্লোগান দিয়েছে।
এবিষয়ে তাপস বকসী বলেন, অভিযোগ আমরা কুমিল্লার কোতয়ালি মডেল থানায় পাঠিয়েছি। ওসি সাহেবকে আমি ফোন করেও বিষয়টি জানিয়েছি।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, এখনও কোন অভিযোগ আমার হাতে আসেনি। এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ, সম্প্রতি কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পূজা উদযাপন নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের ‘মদমুক্ত পূজা’ করার আহ্বান জানিয়ে দেওয়া একটি বক্তব্য নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৮ অক্টোবর বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের দফতর সম্পাদক মিহির রঞ্জন হাওলাদার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিনের বক্তব্যকে ‘সাম্প্রদায়িক উক্তি’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। এই বক্তব্যসহ আরও কয়েকটি দাবিতে গত শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ। এ সময় মিছিলের হামলার অভিযোগ ওঠে মহানগর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত হন ৫জন।