মৃত্যুব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক কারাবন্দীর মৃত্য
অফিস রিপোর্টার।
চুরি ও প্রতারণার দু’টি মামলায় পাঁচ বছর করে মোট ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন বাবুল মিয়া। বিগত ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাস থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের কয়েদি হিসেবে ভোগ করছিলেন সাজা। প্রায় তিন বছরের মাথায় এসে কারাগারেই বাবুল মিয়ার (৫০) মৃত্যু ঘটেছে বলে কারা সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাতে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় কারবান্দী বাবুল মিয়ার। তিনি জেলার কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী বায়েক ইউনিয়নের বায়েক গ্রামের মালেক মিয়ার পুত্র।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগার সূত্র জানায়, চুরি প্রতারণার দুটি মামলায় পাঁচ বছর করে মোট ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হন বাবুল মিয়া। বিগত ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে অন্তরীন হন। সেই থেকেই কারাভোগ করছিলেন তিনি। আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ছিলেন বাবুল। বৃহস্পতিবার উচ্চ রক্তচাপজনিত কারণে কারাগারে আচমকা অচেতন হয়ে পড়েন। কারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে দ্রুত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের পরামর্শ দেন। বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা নেয়ার পথেই মারা যান কারাবন্দী বাবুল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের চিকিৎসক ইনজামামুল হক সিয়াম জানান, ‘উচ্চ রক্তচাপের কারণে হঠা করে কারাগারে অচেতন হয়ে পড়েন বাবুল। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুমূর্ষ অবস্থায় কুমিল্লা মেডিক্যালে নেয়ার পথেই তিনি মারা যান।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. ইকবাল হোসেন বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘বাবুল আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। চিকিসকের পরামর্শে কুমিল্লা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।