রাতে পরিচ্ছন্ন হোক কুমিল্লা নগরী

 

inside post

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লা নগরীর বর্জ্য রাতের বেলায় অপসারণের দাবি জানিয়েছেন নগরবাসী। এতে বর্জ্যরে দুর্গন্ধের ভোগান্তি থেকে নগরবাসী মুক্তি পাবে। সকাল বেলায় একটি পরি”ছন্ন নগর দেখতে পাবে নগরবাসী। সিটি করোপোরেশন কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে পরিকল্পনা নি”েছ বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

 

নগরীর রেইসকোর্স এলাকার বাসিন্দা রাসেল আহমেদ বলেন, কুমিল্লা নগরীর যেখানে সেখানে ময়লাফেলা হ”েছ। সেটা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। এছাড়া সকাল বেলা অফিস টাইমে ময়লা পরিস্কার না করে রাতে করা প্রয়োজন। এতে মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে আমরা পরি”ছন্ন দুর্গন্ধ মুক্ত নগরী দেখতে চাই।

সিটির দক্ষিণ এলাকার বাসিন্দা স্বে”ছাসেবী সংগঠন ন্যাশনাল ক্লাবের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, সিটির দক্ষিণ অংশে বর্জ্য ব্যব¯’াপনা বলতে তেমন কিছু নেই। যে যার মতো সড়কে,বাড়ির পাশের গর্তে আবর্জনা ফেলছেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, অনেকে যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেলেন। এবিষয়ে নাগরিককে আরো সচেতন হতে হবে। এদিকে আমাদের অনেক ডাস্টবিনের বর্জ্য নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। নগরবাসীর দাবি রাতেই যেন বর্জ্য নিয়মিত পরিষ্কার হয়। এতে মানুষ দুর্গন্ধ ও রোগ জীবানু থেকে সুরক্ষা পাবে। এসব বিষয়ে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে আরো আন্তরিক হতে হবে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যব¯’াপনা বিভাগের কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, নগরীতে আগে ছিলো ৫ লাখ লোক ছিলো। এখন তা ১২লাখের বেশি। প্রতিদিন ২৭টি ট্রাক ১৬২টনের বেশি বর্জ্য সংগ্রহ করে। ফলের মৌসুমে তা ১৮০টন ছাড়িয়ে যায়। বর্জ্য ব্যব¯’াপনা বিভাগের জনবল আছে ৪২৪জন। আরো দুইশ’ জনবল পেলে কাজের গতি বাড়বে। তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ অংশে এখনও তেমন বর্জ্য ব্যব¯’াপনা গড়ে উঠেনি। গোমতীর উত্তর পাড়ে ও সিটির দক্ষিণ এলাকায় আরো দুইটি ¯’ান অধিগ্রহণ করে আবর্জনা ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড.সফিকুল ইসলাম বলেন,আমাদের পর্যাপ্ত জনবল রয়েছে। তবে আমাদের রাতে বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে নতুন পরিকল্পনা নিতে হবে। এবিষয়ে ডিসি অফিসের সভায় এমপি ও মেয়র মহোদয়ও কথা বলেছেন। এক্ষেত্রে আমাদের ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে। কারণ আবর্জনা ফেলার সাইকেল নতুন করে করতে হবে। বিশেষ করে মানুষের বাসা থেকে সকালে কিছু ¯’ানীয় ব্যক্তি বর্জ্য সংগ্রহ করেন। সেগুলো ফেলা হয় ডাস্টবিনে। সেখান থেকে সিটির লোকজন তা সংগ্রহ করে জগন্নাথপুরের বর্জ্য ফেলার ¯’ানে ফেলে। আলোচনা যেহেতু শুরু হয়েছে। আশা করছি,আমরা সহসা নতুন একটা পদক্ষেপ নিতে পারবো।

আরো পড়ুন