শালবন বিহারে দর্শনার্থী কমেছে ১০গুণ
আমোদ প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর চালু হলেও দর্শনার্থীদের তেমন সাড়া নেই। দর্শনার্থী কমেছে প্রায় ১০গুণ। বন্ধের আগে মার্চ মাসের ১৬দিনে আসে ৯০হাজার দর্শনার্থী,সেখানে বন্ধের পরে সেপ্টেম্বর মাসে ১৫দিনে দর্শনার্থী আসে মাত্র আট হাজার। অন্য সময় শীত, ঈদ আর বিভিন্ন উৎসবে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় থাকতো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে দর্শনার্থী নেই বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
সূত্র জানায়, ফেব্রæয়ারি মাসে দর্শনার্থী আসে এক লাখ ৯৮ হাজার,রাজস্ব আয় ২৬লাখ। মার্চ মাসের ১৬তারিখ পর্যন্ত শালবন বিহার চালু থাকে। ১৬দিনে আসে ৯০হাজার দর্শক,আয় ১১লক্ষ টাকা। করোনার বন্ধের পরে ১৬সেপ্টেম্বর শালবন বিহার পুনরায় চালু করা হয়। ওই মাসের ১৫ দিনে আসে আট হাজার ৬০৬জন দর্শনার্থী। আয় হয় এক লাখ ৭৯হাজার। অক্টোবর মাসে দর্শনার্থী আসে ২২হাজার, আয় চার লাখ ৩৫হাজার। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত আসে ১৭ হাজার দর্শনার্থী। আয় হয় প্রায় তিন লাখ টাকা।
সূত্রমতে,কুমিল্লা মহানগর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে শালবন বিহার। এখানে অষ্টম শতকের পুরাকীর্তি রয়েছে। রয়েছে ময়নামতি যাদুঘর। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কুমিল্লা আসার জন্য রেল ও সড়কপথে যাতায়াতের সুব্যবস্থা থাকায় দর্শনার্থীরা এখানে সহজে আসতে পারেন।
শালবন বিহারে গিয়ে দেখা যায়,শেষ বিকেল। টিকেট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা আবদুল মালেক দর্শনার্থীদেও বলছেন ৫টা পর্যন্ত চালু থাকবে। বিকালের আলো আকাশি গাছের পাতা ভেদ করে ছড়িয়ে আছে অষ্টম শতকের পুরাকীর্তি শালবন বিহারের উপর। বিহারের পাশে পাতা বাহার আর মুসুন্ডা ফুল তার শোভা ছড়িয়ে দিলেও এই রূপ দেখার কেউ নেই। অল্প কিছু দর্শনার্থী ঘুরছেন, স্বজনদের সাথে ছবি ও সেলফি তুলছেন।
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন আল-আমিন। তার বাড়ি সুনামগঞ্জে। তারা চারজন বন্ধু শালবন বৌদ্ধ বিহারে ঘুরতে এসেছেন। তিনি বলেন,শালবন বৌদ্ধ বিহার এলাকাটি অনেক সুন্দর। পুরার্কীতি দেখার সাথে এখানে সবুজের সতেজতায় প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেয়া যায়। এখানে প্রয়োজনীয় হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হলে দর্শনার্থীদের আগ্রহ বাড়বে।
ব্যাংকার জয়নাল আবেদিন রনি বলেন,শালবন বিহারসহ অন্যান্য প্রতœতাত্তি¡ক স্থান গুলো বেড়ানোর মতো দারুণ জায়গা। তবে শুধু বেড়ানো নয়,এখানে জানার অনেক কিছু আছে। শালবন বিহারে কুমিল্লা ও বাংলাদেশের যে সমৃদ্ধ অতীতের সাক্ষর বহন করে তা জানতে কেউ আগ্রহ প্রকাশ করে না। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো তাও অনেকে জানেন না। এগুলো সুরক্ষিত করা গেলে সরকারের রাজস্ব আয় আরো বাড়বে।
ময়নামতি জাদুঘর ও শালবন বিহারের কাস্টোডিয়ান মো.হাসিবুল হাসান সুমি জানান, শীত মৌসুমে আমাদের উল্লেখযোগ্য আয় হয়। তবে করোনার কারণে দর্শনার্থীদের ভিড় কম। তবে আমরা আশাবাদী দর্শনার্থী ধীওে ধীরে বাড়বে।