শিবনারায়ণ দাশকে সম্মাননা দেয়ার দাবি
মহসীন কবির।।
শুদ্ধাচার, পরিমিতিবোধ, বাগ্মিতা ও আপোষহীন মনোভাব নিয়ে জীবনযাপন করেছিলেন। কখনও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। দেশপ্রেমের মন্ত্রে সব সময় উদ্বুদ্ধ ছিলেন। দেশের মানুষের জন্য তার ভালোবাসা ছিলো অগাধ। তবে জীবিত থাকতে রাষ্ট্র তাঁর যথাযথ মর্যাদা দিতে পারেনি। যা প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষের জন্যই বেদনাদায়ক। তাই তাকে মরণোত্তর সন্মাননা দেয়া উচিত। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নকশাকার ও কুমিল্লার কৃতি সন্তান প্রয়াত শিবনারায়ণ দাশের স্মরণ সভায় তাকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন বক্তারা। এতে অংশগ্রহণ করেন কুমিল্লার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার (২৪মে) সন্ধ্যায় নগরীর টাউন হল মিলনায়তনে শিবনারায়ণ স্মরণ পর্ষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও সভার আহ্বায়ক ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ।
স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক কমরেড খালেকুজ্জামান, কুমিল্লা-৬ (সদর ) আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শিরীন আখতার, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি নাজমুল হক প্রধান, ইবাইস ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য ড. আরিফুর রহমান, অ্যাডভোকেট সৈয়দ আব্দুল্লাহ পিন্টু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক মাহফুজুর রহমান ও অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক প্রমুখ। প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রয়াত শিবনারায়ণ দাশের সহধর্মিনী গীতশ্রী চৌধুরী ও একমাত্র সন্তান অর্ণব।
বক্তারা বলেন, সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ এবং সাম্য ও মানবিক মর্যাদার কথা সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও বর্তমানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা ভুলুণ্ঠিত। মূলত ঘুরেফিরে বুর্জোয়া দলগুলো শাসন ক্ষমতায় থাকায় শিবনারায়ণ দাশের মতো বহু ব্যক্তিত্ব রাষ্ট্রীয় সন্মাননা পাননি। বরং বহুলাংশে অযোগ্যরাই মূল্যায়ন পেয়েছেন। এমন অসম বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে ভবিষ্যতে দেশের জন্য অসনিসংকেত অপেক্ষা করছে। স্মরণসভা উপলক্ষে পুরো টাউন হল মিলনায়তনে বিভিন্ন অঙ্গনের প্রগতিশীল ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের মিলনমেলা বসে। মিলনায়তন জুড়ে শিবনারায়ণ দাশের বিভিন্ন ছবি ও বাণী সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দিয়ে সাজানো হয়। বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে তাকে নিবেদিত করে সঙ্গীত পরিবেশন ও কবিতা আবৃত্তি করা হয়। এতে উঠে আসে দেশমাতৃকার জন্য শিবনারায়ণ দাশের অনন্য অবদানের কথা।