‘সমানতালে বেকারত্বের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে’

প্রতিনিধি।।
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশে শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেলেও অনেকটাই সমানতালে বেকারত্বের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেকারত্বের হার কমানোর জন্য কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। কেননা কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি আমাদের সকলকে স্থির হতে হবে, যে আগামীর বিশ্ব হচ্ছে কারিগরি ও প্রযুক্তির।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড পরিচালিত কারিগরি ও বৃত্তি মূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের সুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও ভর্তির প্রচারণা বিষয়ক সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে আমরা দেশের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রুপান্তরে কাজ করে যাচ্ছি। কারিগরি শিক্ষা গ্রহণে কোন শিক্ষার্থী বেকার থাকছে না। ইন্ড্রাস্ট্রি এবং একাডেমির মধ্যে সেতুবন্ধনে থাকতে হবে।আমরা কারিগরি অঙ্গনকে এগিয়ে নিতে চাই। এক্ষেত্রে আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। শিক্ষার্থীদেরকে কারিগরিমুখী করতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন।
২৪-এর ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আনাস প্রসঙ্গে ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, আনাসের চিঠিকে আমি বলবো মহাকাব্য। যদিও মহাকাব্য অনেক বড় হয়। তবুও এটাকে আমি এক পৃষ্ঠার মহাকাব্য বলবো। এতে কি নেই, সব আছে। সে দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। গতকাল আনাসের মা দাবি করেছে পাঠ্য বইয়ে এই চিঠি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। আজ আমি দাবি করছি। আমি মনে করি নাইন, টেন এর বইয়ে কবিতা আকারে এটি আশা উচিত। যুগ যুগ ধরে আমাদের সন্তানরা এটি পড়ে অনুপ্রেরণা নিবো। বিষয়টি নিয়ে আমি শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলবো। নতুন বছরেই যেন এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো.আমিরুল কায়ছার,কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ মিকাইল,কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক কাজী ফারুক আহমদ,বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক (কারিকুলাম) মো.আনোয়ারুল কবির, কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে সময় কারিগরি অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা, বৃহত্তর কুমিল্লার জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, ইমাম ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
