সেচ পাম্প সচলে তিন বছর পর ভালো ফলন, ৬গ্রামে খুশির বান
মহিউদ্দিন মোল্লা।।
৫টি বন্ধ সেচ পাম্প চালু হওয়ায় কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ৬টি গ্রামে তিন বছর পর ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। এতে ওই ৬গ্রামে খুশির বান নেমেছে। এবছর ধান আবাদ হয়েছে ৬০ হেক্টর জমিতে। ৩০০কৃষক পেয়েছেন প্রায় কোটি টাকার ধান।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দেবিদ্বার উপজেলার চরবাকর, চন্দ্রনগর ও বারুর এলাকার সেচ পাম্প চালু না হওয়ায় গত ৩ বছর যাবত প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ সম্ভব হচ্ছিলো না। আউশ ও রোপা আমন মৌসুমেও প্রয়োজনীয় সেচ দিতে না পারায় বিঘিœত হচ্ছিলো চাষাবাদ। তিন ফসলি জমি গুলো হয়ে পড়েছিল দুই ও এক ফসলি জমি। অর্থনৈতিক জটিলতায় ও ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে হওয়ায় চালু করা যাচ্ছিলো না সেচ পাম্পগুলো। এবার উপজেলা সেচ কমিটির হস্তক্ষেপে সকল জটিলতা কাটিয়ে চরবাকর সেচ পাম্পটি চালু হওয়ায় চরবাকর, চন্দ্রনগর ও বারুর এলাকার প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে নির্বিঘেœ বোরো আবাদ সম্ভব হয়েছে। এরকম গুনাইঘর ও শাকতলাসহ আরো একটি এলাকায় ৪টি পাম্প অচল ছিলো। সেগুলোও চালু করা হয়। এতে আরো ৩০ হেক্টর জমি চাষের আওতায় আসে।
সেচ ব্যবস্থাপনার ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম ও স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গোমতী নদী থেকে পাম্পের মাধ্যমে পানি তুলে সেচ প্রদান করা হয়। ২০২০ ও ২০২১ সালে পরপর দুইবার ট্রান্সফরমার চুরি যাওয়া, ম্যানেজার পরিবর্তন ও টাকা উত্তোলনে ব্যর্থতাসহ নানা কারণে জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। জটিলতা না মেটায় ২০২১ থেকে ২০২৩ এই ৩ বছর সেচ পাম্প চালু করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরো বলেন, নতুন উপজেলা কৃষি অফিসার স্যার উপজেলায় যোগদানের পর গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তার সাথে দেখা করি। তিনি বিষয়টা সমাধানের আশ^াস দেন। উপজেলা সেচ কমিটির মাধ্যমে এবছর জটিলতার অবসান হয়েছে। কৃষক পানি পেয়ে ধান আবাদ করছেন, ফলনও মাশাল্লাহ্ ভালো হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের চরবাকর সেচ পাম্প চালু না হওয়ায় এলাকার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। জমি গুলো তিন ফসলি। উপজেলা সেচ কমিটির হস্তক্ষেপে এবছর এটি চালু করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া গুনাইঘর ও শাকতলা গ্রামের কিছু পাম্প চালুর মাধ্যমেও ৩০ হেক্টর জমি আবাদের আওতায় এসেছে।