নগরীতে ৩য় মান সম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খোঁজে

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লা জিলা স্কুল ও নবাব ফয়জুন্নেছা স্কুল। এই দুইটি স্কুল ছাড়া সন্তানদের লেখাপড়া করাতে বিকল্প কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পাচ্ছিলেন না অভিভাবকরা। সীমিত সিটের কারণে সবাই সেখানে সুযোগও পাচ্ছিলেন না। সবার দাবি ছিলো আরেকটি মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। সে চাহিদা পুরণে এগিয়ে আসছে কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল ও কলেজ।
সূত্র জানায়,দেশের ৫৪টি কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের মধ্যে সেরার তালিকায় রয়েছে কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল ও কলেজ। ১০বছরে প্রতিষ্ঠানটি সেরা তিনে উঠে এসেছে। ভবন ও শিক্ষক সংকট কাটিয়ে এটি আরো ভালো প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।


সূত্র আরো জানায়, কুমিল্লা নগরীতে ৩য় বিকল্প কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পাচ্ছিলেন না অভিভাবকরা। এনিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা করছিলেন কুমিল্লার শিক্ষাবিদরা। বিষয়টি নজরে আসে কুমিল্লার সাবেক জেলা প্রশাসক বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার। তিনি কুমিল্লায় আরেকটি মান সম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। ২০১৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর। তৎকালানী প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড.কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল ও কলেজের ভিত্তিপ্রস্থর উদ্বোধন করেন। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন কুমিল্লার সাবেক জেলা প্রশাসক মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল। টিনশেড দালানে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে শুরু হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। বর্তমানে স্কুলটিতে প্রায় ৩হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।
২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় এ প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ২১১ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন। তার মধ্যে ২০৯ জন সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এ বছর পাশের হার ৯৯.০৫ শতাংশ। গত বছর থেকে পাশের হার ও জিপিএ-৫ বেড়েছে। ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা ৭৫জন জিপিএ-৫ পেয়েছিলো, ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ৯৬জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
সংগীত, খেলাধুলা, কারাতে ও বিতর্কে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও সমাপনী থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে ঈর্ষণীয় সফলতা রয়েছে। এছাড়াও জাতীয় দিবসগুলোতে শারীরিক কসরৎ প্রদর্শনে প্রথম স্থান অর্জন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
অভিভাবক রফিকুল ইসলাম সোহেল বলেন, এই স্কুলে আমার সন্তানও পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ভালো করছে। এখানে বিজ্ঞানাগারসহ আরো কিছু সুযোগ বৃদ্ধি করলে প্রতিষ্ঠানটি আরো এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।

অধ্যক্ষ নার্গিস আক্তার বলেন, প্রথমে শিক্ষার্থী পাওয়া কষ্টের ছিলো। ২১০জন শিক্ষার্থী ও ৫জন শিক্ষক নিয়ে যাত্রা শুরু। নিজে ক্লাস নিয়েছি। এখন সেখানে প্রায় ৩হাজার শিক্ষার্থী। প্রতিষ্ঠান ভালো করায় প্রতিনিয়ত রয়েছে শিক্ষার্থী ভর্তির চাপ। কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সার্বিক তদারকি ও সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে।