আসামির ছুরিকাঘাতে দারোগা নিহত

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
পুলিশের সহকারি দারোগা (এএসআই) আমির হোসেন। কর্মরত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায়। সহকর্মী পুলিশ সদস্যদের নিয়ে যান মাদক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভূক্ত আসামী ধরতে। আসামীর ছুরিকাঘাতে জীবন গেলো এএসআই আমির হোসেনের। এসময় আহত হয়েছেন অপর একজন এএসআই।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর বাজারে ঘটে বর্বরোচিত এই ঘটনা। নিহত এএসআই আমির হোসেন ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানার মোনতাজ আলীর পুত্র। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় কর্মরত ছিলেন।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সদর থানার এএসআই আমির হোসেন (৩৫) এবং এএসআই মনি শঙ্কর চাকমা (৩৪) মাদক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামী সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর বগাহাটি গ্রামের মুসা মিয়ার পুত্র মামুনকে ধরতে যায়। পাঘাচং এলাকার চান্দপুর মাছ বাজারে মাদক মামলার আসামী মামুনকে খোঁজ করতে থাকেন তারা। এসময় মামুন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এএসআই আমির হোসেনের বুকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। ধস্তাধস্তিকালে আহত হন এএসআই মনি শঙ্কর চাকমা। ঘটনার পর স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় ছুরিকাহত এএসআই আমির হোসেনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানসহ জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা সদর হাসপাতালে ছুটে যান।
জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এ.বি.এম. মুসা চৌধুরী জানান, ‘বুকের বামপাশে ফুসফুসে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে।’ পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মাদক মামলার আসামীর খোঁজ নেবার সময় তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে সে মারা যায়। এ ঘটনায় অপর একজন এএসআই আহত হয়েছেন।’