পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না ক্রেতা-বিক্রেতা
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
‘সবাই মাস্ক পড়ুন। নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।’ এমন প্রচারণা চালানো হচ্ছে মাইকে। অথচ বাস্তবতায় নাই এসবের কোনোই বালাই। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যে যার মতো করেই চলাফেরা করছেন। এমন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর পশুর হাটে। করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পশু হাটে ভিড় জমিয়েছেন হাজারো মানুষ।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শিবপুর মাঠে বসে বৃহৎ এই গরুর হাট। ক্রেতা-বিক্রেতায় বাজার ভরপুর থাকলেও অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতাই মানেননি সরকারি নির্দেশনা। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বাজারের ইজারাদারকে নির্দেশনা দেয়া হলেও বাস্তবতায় তার দেখাও মিলেনি। এতে করোনার সংক্রমণ আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শুক্রবার দুপুরে পশুর হাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ হাটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা ক্রেতা-বিক্রেতা অনেকের মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই। তাছাড়া বৃহৎ এই পশুর হাটে খুঁজে পাওয়া যায়নি হাত ধৌত করার মতো পর্যাপ্ত কোনোরকমের ব্যবস্থা। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে জেলার এই উপজেলাতে প্রায় প্রতিদিনই জ্যামিতিক হারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এহেন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পশুর হাটের আয়োজন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার সচেতন মহল। তাদের দাবী, হাটে অন্তত পক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোরতম নজরদারি থাকা দরকার ছিলো। শিবপুর পশুর হাট ইজারাদারের লোকজন জানান, ‘এতো মানুষের ভিড়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে নামানো অত্যন্ত কঠিন। তবে উপজেলা প্রশাসন থেকে যেই নির্দেশনা দেওয়া আছে তা একটু পরপর মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে, যাতে সবাই মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘আমরা ইজারাদারকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট বসানোর নির্দেশ দিয়েছি। তারপরও ইজারাদার যদি এ বিষয়ে আন্তরিক না হয়, তাহলে ইজারাদারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।’