কসবায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটায় ভূমিদস্যুকে জরিমানা
আরো পড়ুন:
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
পরিবেশ আইন উপেক্ষা করেই পাহাড়ি এলাকায় এক শ্রেণীর ভূমিদস্যু অবৈধভাবে পাহাড় কেটে উজার করায় রয়েছে লিপ্ত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা এলাকায় নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে কামাল খন্দকার নামীয় এক ভূমিদস্যুকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উল আলম উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পাথারিয়াদ্বার গ্রামে
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে ভূমির মালিক মৃত আফতাব খন্দকারের পুত্র কামাল খন্দকারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পাথারিয়াদ্বার গ্রামের বাসিন্দা কামাল খন্দকার ভবিষ্যতে পাহাড় থেকে কোনো ধরণের মাটি কাটবেন না মর্মে ইতিপূর্বে প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দিয়েছিলেন। তথাপিও তিনি পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করেই চলেছেন। এই সংবাদ পেয়ে কসবা
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উল আলম মঙ্গলবার সকালে পাথারিয়াদ্বার গ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় প্রচলিত আইনকে উপেক্ষা করে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে ওই গ্রামের মৃত আফতাব খন্দকারের পুত্র ভূমিদস্যু কামাল খন্দকারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতে আর পাহাড় কাটবেন না মর্মে মুচলেকা আদায় করেন। পাহাড় কাটা আইনত তণ্ডনীয় অপরাধ। পাহাড় কাটা বন্ধের ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি এই পাহাড় কাটা নিয়ে তৎকালীন সহকারি কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর হোসেন কসবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দাখিলের দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ অভিযোগের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।