শিশু শিক্ষার্থীদের হেড-ডাউন শাস্তিতে অসুস্থ ২৫ জন

 

 

আমোদ রিপোর্টার।।

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার শংকুচাইল আশ্রাফুল উলুম হাফেজিয়া নুরানীয়া ফুরকানিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় চানাচুর চুরির অভিযোগে মাদ্রাসার সভাপতি ও শিক্ষকরা ৬০জন শিক্ষার্থীকে হেড-ডাউন (মাথা নিচে পা উপরে) করে আধা ঘন্টা শাস্তি দেন। এতে ২৫জন শিক্ষার্থীর কারো বমি কারো নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে।

এ সময় অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন এগিয়ে আসে। স্থানীয় লোকজন ওই মাদ্রাসাটি ঘেরাও করে ফেলে। পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে। অভিযুক্ত মাদ্রাসার সভাপতিসহ চারজন শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। মঙ্গলবার তাদেরকে কোর্টের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়। আসামিরা হলেন, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ বাদশা মিয়া, শিক্ষক মোঃ মোতালেব, মোঃ মিজানুর রহমান ও হাফেজ মোঃ সফিকুল ইসলাম।

গুরুতর অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন, ইসমাইল হোসেন বাধন (১০), এনায়েত (১০), হিফজুল করিম (৮), মোঃ আশ্রাফুল (১০), সাকিব (১২), মোঃ আশিকুর রহমান (১১), রুহুল আমিন (৯), জুনায়েদ (১০), সাইফুল ইসলাম (৯), মোঃ সিফাত (৯) ও মোঃ ছাব্বির (১০)।

মামলার বিবরণ ও পুলিশ সূত্র জানায়, শংকুচাইল আশ্রাফুল উলুম হাফেজিয়া নুরানীয়া ফুরকানিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার এক শিক্ষার্থী পাশের ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাগড়া গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে মোঃ আল-আমিন (১০) কয়েকদিন ছুটি কাটিয়ে বাড়ি থেকে তার মায়ের সঙ্গে সোমবার বিকালে মাদ্রাসায় আসে। এসময় আল-আমিনের মা একটি চানাচুরের প্যাকেট তার পুত্রকে কিনে দেয়। পরে দেখতে পায় মায়ের দেওয়া চানাচুরের প্যাকেটটি কে নিয়ে গেছে। তার মাকে ফোনে জানালে তিনি মাদ্রাসার সভাপতি ও শিক্ষকদেরকে জানান। সন্ধ্যায় মাদ্রাসার সভাপতি ও শিক্ষকগণ চানাচুর চুরি করার দায়ে ৬০ জন শিশু শিক্ষার্থীকে হেড-ডাউন করে আধা ঘন্টা শাস্তি দেন।

বুড়িচং থানার ওসি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন জানান, এ ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর পিতা মোঃ ফিরোজ মিয়া বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার তাদেরকে কোর্টের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়।