কসবায় নির্মাণাধীন বাথরুমের ট্যাঙ্কিতে নেমে তিনজন হতাহত
আরো পড়ুন:
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাক্ষণবাড়িয়া
নির্মাণাধীন বাথরুমের ট্যাঙ্কিতে কাজ করতে নেমে তিনজন হতাহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে জহির মিয়া ও অনিক নামের দুই যুবক ঘটনাস্থলেই হন নিহত এবং গুরুতর আহত জাকির হোসেন নামের অপর যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। মর্মন্তুদ এই ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা এলাকার।
শনিবার (১০ জুলাই) বিকেলে জেলার কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী বায়েক ইউনিয়নের বায়েক গ্রামের কামাল মিয়ার বাড়িতে ঘটে এই ঘটনা। নিহতেরা হলেন উপজেলার কাইমপুর ইুনিয়নের কাইমপুর গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র জহির মিয়া (২০) এবং খাড়েরা ইউনিয়নের বুগীর গ্রামের মনির হোসেনের পুত্র অনিক (২৭)। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের সহকর্মী জাকির হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার্থে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদার্শী স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বায়েক গ্রামের কামাল মিয়ার বাড়িতে নতুন বাথরুম নির্মাণ করা হচ্ছিলো। শনিবার বিকেলে কাজের এক পর্যায়ে নির্মাণাধীন বাথরুমের ট্যাঙ্কিতে সেন্টারিংয়ের বাঁশ খুলতে নামে জহির। অনেক্ষণ সময় পরও সে ওঠে না আসায় তার সহকর্মী অনিক এবং জাকির হোসেনও ট্যাঙ্কিতে নামেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরও তাদের তিনজনের কেউই ওঠে না আসায় বাড়ির লোকজন দেখতে পায় তারা তিনজনেই বেঁহুশ হয়ে পড়ে আছেন। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে দমকল বাহিনীর একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্যাঙ্কি থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জহির এবং অনিককে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত জাকির হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কসবা থানার পরিদর্শক (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া ঘটনার সত্যতার স্বীকার করেন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।’