কুমিল্লায় কোরবানির সময় আহত শতাধিক মানুষ

প্রতিনিধি।।
 গরু কোরবানি করার সময় এবং মাংশ কাটতে গিয়ে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। তারা কুমিল্লা নগরীর জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সকাল ৮ টা থেকে কোরবানি শুরু হবার পর থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত এসব আহতরা এসে চিকিৎসা নেন। তবে কেউ গুরুতর আহত নন। তারা সবাই মৌসুমী কসাই কিংবা নিজের গরু-ছাগল নিজে জবাই ও কাটাকুটি করতে গিয়ে ধারালো ছুরি-দা’য়ে আহত হন৷ আহতদের মধ্যে খুব সংখ্যক পেশাদার কসাই ছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন বলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। সকাল ৮ টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৫ জন।
এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় গরুর সিংহের আঘাতে ও হাত কেটে কিছু মানুষ আহত হয়েছেন। তারা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার রাজন কুমার দাস জানান, হাসপাতালে শহরের রোগীরাই বেশি। সবাই ছোটখাট আঘাত নিয়ে এসেছেন। কাউকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় নি। সর্বোচ্চ সেলাই দিতে হয়েছে। তারপর তারা বাড়ি ফিরে যান।
  নগরীর টিক্কারচর এলাকা থেকে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাগর হোসেন বলেন, কোরবানির গরুর মাংস কাটতে গিয়ে কিভাবে যে হাত কেটে গেলো টেরই পেলাম না। এখন সেলাই লাগছে। নগরীর চর্থা এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা বজলু মিয়া জানান, চাপাতি ছুটে হাতে লাগে। এরপরই রক্ত বের হওয়া শুরু।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সাগর চক্রবর্তী জানান, আহতরা বেশির ভাগই হয় ছুরির আঘাতে হাত কেটেছে। আবার অনেকে গরুর শিংয়ের গুতোয় আহত হয়েছেন। কারো দুই টা , কারো তিনটা কিংবা কারো সর্বোচ্চ ৬টা সেলাই লাগছে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স দুলাল চন্দ্র সূত্রধর জানান, দুপুর দুইটা পর্যন্ত ৩৯ জন চিকিৎসা নিয়েছে। আরো অনেকেই আসছে। তবে সকাল ৮টা থেকে ২টা পর্যন্তই কোরবানি করতে গিয়ে আহতরা বেশি আসেন। আমরা সচেষ্টভাবে তাদের সেবা দিচ্ছি। এছাড়াও দেখা গেছে, নগরীর বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রেও ছুরিকাঘাতে আহত বেশ কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এই দুই হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দুপুর পর্যন্ত তারা অন্তত একশ’জনকে সেবা দিয়েছেন।