নগরীর বিভিন্ন মোড়ে বসেছে গোস্তের দোকান

 

হাসিবুল ইসলাম সজিব।।

সারাদিন মানুষের বাসা বাসায় ঘুরে কুরবানির গোস্তের জন্য। থাকে শহরে বিভিন্ন মেস গুলোতে। নিজের খাওয়ার জন্য রাখে না একটুও গোস্ত। বিকাল হলে নগরীর পূবালী চত্বর, পুলিশ লাইন,বাদশা মিয়ার বাজার কিংবা স্টেশন রোডে বিক্রি করে দেয় গরুর গোস্ত গুলো।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুরবানির দিন বিকেলে বিক্রয়কৃত গোস্তের বিক্রেতার কেউ কুমিল্লা শহরের না। সবাই কোন না কোন শহর থেকে এসে কুমিল্লা বিভিন্ন পেশায় নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন। থাকেন শহরের বিভিন্ন মেস গুলোতে। ঈদের ছুটি যারা বাড়িতে যাওয়া তারা সবাই চলে গেছেন। বাকি যারা রয়ে গেছেন তারা বিভিন্ন মেসে থেকে কুরবানির ঈদের দিনে মানুষের বাসায় বাসায় গিয়ে খুঁজে যেটুকু গরুর গোস্ত পান তা বিকেলে হলে নগরীর পূবালী চত্বর, পুলিশ লাইন,বাদশা মিয়ার বাজার কিংবা স্টেশন রোডে টাকার জন্য বিক্রি করে দেন।

একজন বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, তার বাড়ি কুড়িগ্রাম। থাকেন নগরীর ডুলিপাড়া এলাকায় একটি মেসে। ঈদে ইপিজেড বন্ধ। টিকেটের দাম বেশি হওয়ায় যাওয়া হয়নি বাড়িতে। মানুষের বাসায় বাসায় গিয়ে সংগ্রহ করেছেন কয়েক কেজি গরুর গোস্ত। বিকেলে বাদশা মিয়া বাজারে বিক্রয় করে দেন গোস্ত গুলো।  যত টাকা বিক্রয় করেছেন তা দিয়ে তার এক মাসের মেসে থাকা খাওয়ার খরচ হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।

গোস্ত ক্রয় করা একজন জানান , তিনি অনেক বছর যাবৎ কুমিল্লা শহরের রিকশা চালান। এবার ঈদের বাড়িতে যাওয়া হয়নি তার। মানুষের কাছে শুনেছেন বিকেলে শহরের কিছু স্থানে কম দামে গরুর গোস্ত বিক্রয় করা হয়। কয়েক জায়গায় ঘুরাঘুরি করে একজনের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা দিয়ে তিন কেজির মত হবে গোস্ত কিনেছেন। বাসায় গিয়ে বউকে দিলে রান্না করে বাচ্চাদের সাথে নিয়ে গোস্ত-রুটি খাবো।