কুমিল্লায় দাদি হত্যা মামলায় নাতি গ্রেফতার

 

 

অফিস রিপোর্টার।।

সম্পত্তির লোভে বাবা ও মায়ের সাথে মিলে দাদিকে হত্যার পর মরদেহ ধানের জমিতে ফেলে রাখা হয়। এই ঘটনার ২ বছর ৯ মাস পর নাতি হৃদয়কে গ্রেফতারের মধ্যে দিয়ে রহস্য উন্মোচন করলো পিবিআই।

রোববার পিবিআই কুমিল্লার উপপরিদর্শক মোঃ শাহাদাত হোসেন এসব তথ্য জানান ।

জানা যায়, ২০১৮ সালে ২ নভেম্বর সকালে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের জগতপুর মধ্যপাড়া গ্রামের একটি ধানের জমি থেকে হাত-পায়ের রগ কাটা অবস্থায় মৃত আবুল হাসেমের স্ত্রী নুরজাহান বেগমের (৬৫) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে নিহতের ছেলে অলি আহাদ, আলি আহাদের স্ত্রী রুবি ও ছেলে হৃদয়ের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫ জনকে আসামি করে বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকেই আসামিরা পলাতক ছিলো। ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ডাকাতির করতে গিয়ে মামলার প্রধান আসামি অলি আহাদ পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে বুড়িচং থানা পুলিশ আদালতে পুলিশ চার্জসীট দাখিল করলে মামলার বাদী সেলিনা আক্তার নারাজী প্রদান করেন। আদালত বিষটি আমলে নিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি পিবিআই কুমিল্লাকে দায়িত্ব দেয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন রোববার কুমিল্লার দেবিদ্বার থানাধীন শিবপুর এলাকা থেকে ৩নং আসামিকে গ্রেফতার করেন।

শাহাদাত হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ঘটনা ও জড়িতদের বিষয়ে তথ্য প্রদান করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হৃদয় জানান, ২০১৮ সালে ১ নভেম্বর সন্ধা সাড়ে ৬ টায় তাঁর বাবা অলি আহাদ, মা রুবি ও সে নিজে নুরজাহান বেগম’কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে জনৈক ময়নাল হোসেনের ধানের জমিতে ফেলে চলে যায়। পুলিশ আসামিকে দুপুরে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

নিহতের মেয়ে মামলার বাদী সেলিনা আক্তার জানান, তাঁর বাবা মৃত্যুর আগে তার মায়ের নামে কিছু জমি লিখে দিয়ে যান। নিহত নূরজাহান বেগমের চার ছেলে ও চার মেয়ে। সম্পত্তি নিয়ে ভাইদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। মূলত সম্পত্তির লোভেই মা নূরজাহান বেগমকে হত্যা করা হয়।