আরাফার দিনের সিয়াম ও দু’য়া; মো: আবু বকর সিদ্দিক

আরাফার দিবসের তুলনায় এমন কোন দিন নেই যেদিন মহান (রব) আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা সর্বাধিক সংখ্যক লোককে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দান করেন। আল্লাহ নিকটবর্তী হন, অতঃপর বান্দাদের সম্পর্কে ফিরিশতাগণের সামনে গৌরব প্রকাশ করেন এবং বলেন : তারা কি সমবেত হয়েছে? বা তারা কি চায়? -(মুসলিম)।

জিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখ অর্থাৎ ঈদুল আযহার আগের দিন হলো ‘আরাফার দিন’। কারণ এই দিনে হাজীরা আরাফার ময়দানে একত্রিত হন। হজ্জ্বের সবচেয়ে গুরুত্ত্বপূর্ণ আহকাম হলো ‘আরাফার ময়দানে’ অবস্থান করা। এই দিনের গুরুত্ত্ব সম্পর্ক রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “আরাফার ময়দানে অবস্থান করাই হলো হজ্ব। ”যাদের হজ্বে যাওয়ার সুযোগ হয়নি তাদের জন্য আরাফার সিয়াম (রোজা) সম্পর্কে রাসূল (সা:) বলেছেন, আরাফার সিয়াম সম্পর্কে আমি আল্লাহর কাছে আশা করি যে, তিনি এর মাধ্যমে পূর্ববর্তী বছর এবং পরবর্তী বছরের পাপসমূহ ক্ষমা করে দিবেন। -(তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ)।

আরাফার দিনের দু’য়া সম্পর্কে রাসূল (সা:) বলেছেন: আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নাবীগন (আঃ) কর্তৃক উচ্চারিত শ্রেষ্ঠতম দু’য়া হচ্ছে :
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
উচ্চারণঃ লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর।
অর্থঃ একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর; আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। -(তিরমিযী)।

অবশেষে, মহান রবের নিকট প্রার্থনা এই যে, তিনি যেন আমাদের এই দুনিয়ার জীবনে এবং আখিরাতে জীবন সফলতা দান করেন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দান করেন। আমিন ইয়া রব।

মো: আবু বকর সিদ্দিক
এম.এ (হাদিস), এম.এফ (ফিকহ্), এলএল.বি।