চান্দিনায় পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি গায়েবের চেষ্টা; স্টোর কিপার বরখাস্ত

 

অফিস রিপোর্টার।।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর চান্দিনাস্থ প্রধান কার্যালয় থেকে দিন দুপুরে ৪০টি কাঠের খুঁিট (কাঠের পোল) গায়েবের চেষ্টা করা হয়। ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থাকার দায়ে সমিতির স্টোর কিপার মো. মাসুম বিল্লাহকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বিষয়টি তদন্তে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে সমিতি কর্তৃপক্ষ। এদিকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আর.ই.বি) এর পক্ষ থেকে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শনিবারের মধ্যে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সমিতির তদন্ত কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুটি ট্রাক্টরে ২০টি করে মোট ৪০টি কাঠের খুঁটি ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ওইসময় বিষয়টি সমিতির এজিএম (এডমিন) মো. রাহাতের নজরে আসলে তিনি স্টোর কিপারকে অবহিত করেন। পরে সন্ধ্যায় ট্রাক্টরগুলো খুঁটি নিয়ে কার্যালয়ের বাইরে চলে যায়। খবর পেয়ে গার্ডদের সহযোগিতায় চান্দিনা পালকি সিনেমা হল এলাকা থেকে আটক করে।
এ ব্যাপারে সমিতির এজিএম (এডমিন) মো. রাহাত বলেন- আমি নিষেধ করার পরও খুঁটিগুলো সমিতির কার্যালয় থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এজন্য একটি ভুয়া গেইট পাশও তৈরি করা হয়।

এ ব্যাপারে স্টোর কিপার মো. মাসুম বিল্লাহ্ বলেন- আমাদের কার্যালয়ের বাইরে সমিতির তিনটি স্থান আছে। সমিতির সকল খুঁটি ওই স্থানগুলোতে রাখা হয়। আমাকে আগেই নির্দেশনা দিয়েছিল এগুলো স্থানাস্তর করার জন্য। তাই আমি খুঁটিগুলো ছয়ঘরিয়াস্থ সমিতির খুঁটি রাখার জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিলাম।

এ বিষয়ে ঠিকাদার মো. শাহাবুদ্দিন অন্তর বলেন- ‘পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির স্টোর কিপার মো. মাসুম বিল্লাহ্ আমার কাছ থেকে ট্রাক্টর ভাড়া নিয়েছিলেন। খুঁটি স্থানান্তরের জন্য। এর বেশি আমি কিছুই জানিনা।’

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. মকবুল হোসেন জানান, ‘স্থানান্তর করতে হলে নিয়ম অনুযায়ী অফিসিয়াল প্রক্রিয়া মেনে খুঁটি স্থানান্তর করতে হয়। স্টোর কিপার কোন নিয়ম না মেনে খুঁটি গুলো অন্যত্র নেয়ার চেষ্টা করেন। স্টোর কিপারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের পর বিস্তারিত বলতে পারবো।’