জটে আটকা কুমিল্লা নগরীর যানজট নিরসন সিদ্ধান্ত!

 সিটি সার্ভিস দিতে হবে- ট্রাফিক ইন্সপেক্টর
সামনের মাসে রিকশা, সিএনজির লাইসেন্স প্রদান – মেয়র

আবু সুফিয়ান রাসেল।।
যানজটের নগরী কুমিল্লা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রধান সড়ক ও অলি-গলিতে যানজট। সমাধানের জন্য
দফায় দফায় সভা, চিঠি বিতরণ আর মাইকিং করলেও বাস্তবায়ন হয়নি। যানজট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নগরবাসী। ট্রাফিক পুলিশের পরামর্শ মিনি বাস। মেয়র জানিয়েছেন কিছু দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে।


সূত্রমতে, বর্তমান মেয়রের নির্বাচনী ঘোষণা যানজট ও জলাবদ্ধতা মুক্ত নগরী। ৬ জুন নগরীর যানজট নিরসন ও রাজস্ব আহরণ বিষয়ক বিশেষ এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিটি মেয়রের সভাপতিত্বে কাউন্সিলরবৃন্দ ও কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন। এ সভায় নগরীতে এক হাজার পায়ে চালিত রিকশা, দু’আসনের পাঁচ হাজার ব্যাটারি চালিত মিশুক ও এক হাজার সিএনজি (কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) চালিত রিকশার লাইসেন্স প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পায়ে চালিত রিকশার লাইসেন্স ফি পাঁচশ’, ব্যাটারি চালিত রিকশার ফি পাঁচ হাজার ও সিএনজি চালিত রিকশার ফি ১০ হাজার টাকা। প্রতিটি যানের জন্য আবেদন ফি ও প্রতিবছর নবায়ন ফি প্রদান করতে হবে।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্স কর্মকর্তা কাজী আতিকুর রহমান জানান, আবেদনের জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলর থেকে প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহের জন্য বলা হয়েছে। প্রতিটি জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য একটি আবেদন করা যাবে।


সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার সভাপতি রোকেয়া বেগম শেফালী বলেন, কুমিল্লা অপরিকল্পিত নগরী, এটা বসবাসের অনুপযোগী। মানুষ বাড়ছে, গাড়ি বাড়ছে, সড়ক প্রশস্ত করার সুযোগ নেই। তাই অবৈধ সকল স্থাপনা, অবৈদ্যুতিক খুঁটি, তোরণ সরাতে হবে। হকারের বিকল্প ব্যবস্থা করে দিলে সড়ক মুক্তি পাবে।
নগরীর ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মঞ্জুর কাদের মনি জানান, এ বিষয়ে এমপি সাহেব বলেছেন টাউন হলে লটারির মাধ্যমে ব্যক্তি নির্ধারণ করা হবে। যে ওয়ার্ডে মানুষ বেশি, সে ওয়ার্ডে লাইসেন্স বেশি থাকবে। এসব বিষয়ে আরো আলোচনা হবে। কারণ মেয়র মহোদয়ের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি এটি।
জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জিয়াউল হক টিপু বলেন, এটার বড় সমাধান হলো- ট্রাফিক আইনের প্রতি সবার দায়িত্বশীল আচরণ করা। আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো, নগরীতে সিটি সার্ভিস দিতে হবে। তাহলে পরিবহণের সংখ্যা কমবে। অন্যদিকে মানুষের ভাড়ার টাকা কম খরচ হবে।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন মেয়র আরফানুল হক রিফাত জানান, কিছু দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে। বিষয়টা নিয়ে আলোচনার পর আলোচনা হচ্ছে। বাস পার্কিংয়ের জন্য নগর উদ্যানের পাশে নির্ধারিত স্থানে যাত্রী চাইনি করে দিবো। এরপর রিকশা, সিএনজির লাইসেন্স প্রদান করবো। এ মাসটা সময় লাগবে।