নগরীর দোকান যেন ছোট্ট বাগান

মহিউদ্দিন মোল্লা।।
সিএনজি অটো রিকশার স্ট্যান্ড। হর্ন আর মানুষের চেচামেচি। গরমে এক রুক্ষ পরিবেশ। সেখানে নজর কাড়বে একটি ওষুধ দোকানের আঙিনা। আঙিনায় সবুজের স্নিগ্ধতা ছড়াচ্ছে কিছু গাছ। ওষুধ দোকানের আঙিনা যেন ছোট বাগান। কুমিল্লা নগরীর কাপ্তান বাজারে এই দৃশ্য দেখা যায়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,কাপ্তান বাজার সিএনজি স্ট্যান্ডের পাশে গোমতী কমিউনিটি ক্লিনিক ওষুধ বিক্রির দোকান। ওষুধ দোকানের সামনে কিছু গাছ লাগানো হয়েছে। নানা রকম,ফুল,পাতা বাহার ও ফলের গাছ। ২৫-৩০টি গাছ। স্ট্যান্ডের যাত্রীরা এসে গাছ গুলো দেখেন। এটা অনেকে কাছের নতুন দৃশ্য। কেউ কেউ গাছের নাম জানতে চান। দোকানের পরিচালক সফিউদ্দিন লিটন তাদের বিভিন্ন প্রশ্নে উত্তর দেন। দোকানের সামনে ছোট সাইনবোর্ডে রয়েছে বিভিন্ন ঘোষণা। তার মধ্যে রয়েছে- ৪নং ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে ডায়বেটিস ও প্রেশার নির্ণয়। এছাড়া এতিম,পঙ্গুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান।


দোকানের পরিচালক সফিউদ্দিন লিটন বলেন, তার গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার শিমপুরে। দাদা ও ফুপা এলাকার নামী পল্লী চিকিৎসক ছিলেন। তিনি এমবিবিএস কোর্স করতে রাশিয়া গিয়েছিলেন। ৮টি সেমিস্টার শেষে দুর্ঘটনায় পড়েন। শেষে দেশে এসে আর যাওয়া হয়নি। ঢাকায় প্যারিমেডিকেল কোর্স করেন। ঢাকায় কিছুদিন ওষুধের ব্যবসা করেন। মাঝে কয়েক বছর ওমানে চাকরি করেন। দেশে এসে কুমিল্লা শহরতলীর শাসনগাছায় ওষুধের ব্যবসা শুরু করেন। ৬-৭মাস আগে কাপ্তান বাজারে আসেন।
তিনি বলেন,গাছ তার খুব প্রিয়। তাই দোকানের সামনে গাছ লাগিয়ে সকাল বিকাল পরিচর্যা করেন। তিনি মনে করেন,মানুষের বসবাস উপযোগী পরিবেশ তৈরিতে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে।
পাশের ব্যবসায়ী শাহ সৈয়দ আলী আক্কাস ও জামির হোসেন বলেন,দোকানের সামনে তার গাছ লাগানোর বিষয়টি ব্যতিক্রম। তার থেকে অন্যরা অনুপ্রাণিত হতে পারে। এছাড়া তার মুক্তিযোদ্ধা ও অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোও ব্যতিক্রম বিষয়।
কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটির পরিচালক ডা.আবু নাঈম বলেন, পরিবেশ ও মানুষ বাঁচাতে গাছ লাগাতে হবে। লিটনের মতো অন্যদেরও এগিয়ে আসতে হবে। নগরীর প্রত্যেক বাসায় একটি করে গাছ লাগালেও পরিবেশ অনেক শীতল হবে।