নিয়মিতকরণের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন
আরো পড়ুন:
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
নিরাপদ-নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, টেকসই, আধুনিক ও যুগোপযোগী বিতরণ ব্যবস্থা বিনির্মাণে আরইবি-পবিস একীভূতকরণ, অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ সকল চুক্তিভিত্তিক/অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দুই দফা দাবি আদায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মানববন্ধন কর্মসূচি পালনসহ প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আওতাধীন বিভিন্ন সমিতির কর্মকর্তাসহ প্রায় পাঁচশ’ কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।মানববন্ধন চলাকালে বক্তৃতা করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক ও এজিএম (ওএণ্ডএম) আব্দুল হাকিম, এজিএম (ওএণ্ডএম) মো. সালাহউদ্দিন, এজিএম (ওএন্ডএম) ও সমন্বয়ক বিদ্যুৎ সমিতি বৈষম্য বিরোী আন্দোলন, ডিজিএম মো. আসাদুজ্জামান ভুইয়া, এজিএম (ওএন্ডএম) প্রকৌশলী রাজন কুমার দাস, বিল্ডিং সহকারি রিয়া পাল, সাধন আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বৈষম্য, শোষণ-নির্যাতন ও নিপীড়ন থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মুক্তি এবং দেশের মানুষের নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সেবা প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতে লক্ষ্যে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা দৃঢ় সঙ্কল্পবদ্ধ। বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক পল্লী বিদ্যুৎ সিস্টেমের সংস্কার সময়ের দাবি হিসেবে উল্লেখপূর্বক সংস্কারসহ অন্যান্য সমস্যার যৌক্তিক সমাধানের জন্য ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। বৈষম্যমুক্ত নতুন দেশ গড়ার প্রত্যয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের প্রতিটি সেক্টরকে সংস্কারের সুস্পষ্ট ঘোষণা সত্ত্বেও আরইবি কর্তৃক কমিটির সভায় অনুপস্থিত থাকা, সভার সিদ্ধান্ত অমান্য করে সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে কোনো প্রকার সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন না করা, সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপনের জন্য পুনরায় সভা হলেও আরইবি সংস্কার না করে বিদ্যমান কাঠামো বহাল রাখার প্রস্তাব প্রদান করে। সর্বশেষ কমিটির চতুর্থ সভায় আরইবি’র পক্ষ থেকে রিফর্ম সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব দাখিল করা হয়নি। এছাড়া আর্থিক জটিলতা না থাকা সত্ত্বেও চুক্তিভিত্তিক/অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের বিষয়েও বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তড়িৎ সমাধানে অনীহা পরিলক্ষিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থাসহ দেশের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে মিথ্যা-বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির যৌক্তিক আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রাখছে। তাছাড়া বিগত কয়েক মাস যাবত প্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয় ও সরবরাহের ব্যবস্থা না করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করায় মাঠ পর্যায়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো মালামালের অভাবে (মিটার, ট্রান্সফরমার, তার ইত্যাদি) নতুন সংযোগসহ সঠিকভাবে গ্রাহক সেবা প্রদান করতে পারছে না। আরইবির কর্তৃক নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ এবং প্রয়োজনীয় জনবল ও যানবাহনের ব্যবস্থা না করার কারণে গ্রাহক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। ভুক্তভোগী হচ্ছেন গ্রাহক এবং সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর ফলে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর মনে আরইবি’র প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও চরম অসন্তোষ বিরাজমান। এমতাবস্থায় আগামীকাল ১ অক্টোবর থেকে বাপবিবোর্ডের সাথে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- সকল ধরণের যোগাযোগ, তথ্য সরবরাহ থেকে বিরত থাকার জন্য পর বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মানববন্ধন কর্মসূচি পালনশেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।