হুইল চেয়ারে আম্পায়ার- সভাপ্রধানের চেয়ারে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী!
প্রতিনিধি।।
পূর্বাশা ও কচিকাঁচার মেলার হীরকজয়ন্তী উপলক্ষে কুমিল্লায় চারদিনব্যাপী আন্তঃস্কুল ক্রিকেট খেলা নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনালে অংশগ্রহণ করে নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও বেগম মালেকা মমতাজ উচ্চ বিদ্যালয়। বিজয়ী হয় নবাব ফয়জুন্নেছা স্কুল। আম্পায়ারিং করেন দুর্ঘটনার কারণে শারীরিক প্রতিবন্ধিতার শিকার হওয়া ঢাকা ফার্স্ট ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সাবেক খেলোয়াড় রফিকুল ইসলাম সোহেল। স্কোরার ছিলেন পূর্বাশা-কচিকাঁচা মেলার সদস্য নাসরিন সুলতানা লাইজু। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপ্রধান ছিলেন পূর্বাশা-কচিকাঁচা মেলার সদস্য ও মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী আরাত্রিকা ঘোষ রূপকথা। খেলার ধারাভাষ্যে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ম্যানেজার বদরুল হুদা জেনু।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নিজামুল করিম বলেন, মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এমন আয়োজন বাড়াতে চাই।
ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অধিনায়ক লাবিবা রহমান জানান, এভাবে খেলা হলে কুমিল্লা থেকে মেয়েরা জাতীয় পর্যায়েও খেলার সুযোগ পেতো।
মালেকা মমতাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের অধিনায়ক ফাতেমা আক্তার জানান, এই আয়োজন খুব ভালো লেগেছে। এটা চালু থাকলে ভালো লাগবে।
( সভাপ্রধান ছিলেন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী আরাত্রিকা ঘোষ রূপকথা)
কুমিল্লার প্রথম নারী স্কোরার নাসরিন সুলতানা লাইজু জানান,কুমিল্লার আটটি স্কুল খেলায় অংশগ্রহণ করে। সবগুলো ম্যাচে স্কোরার দায়িত্ব পালন করেছি। দায়িত্ব পালন করে ভালো লাগছে।
ক্রীড়া সংগঠক রফিকুল ইসলাম সোহেল বলেন, এই আয়োজনের মাধ্যমে ১০০জন মেয়ে ক্রিকেটার ক্রিকেটের মৌলিক বিষয় জানলো। এভাবে দেশের নারী ক্রিকেট এগিয়ে যাবে। পাশাপাশি মেসেজ দিতে চাই, মানসিক শক্তি দিয়ে সব প্রতিবন্ধকতাকে জয় করা যায়।
শহীদ শামসুল হক কলেজের সাবেক শিক্ষক ৯১বছরের জয়গোবিন্দ দেবনাথ বলেন, ১৯৫৩ সাল থেকে ভলিবল খেলি। খেলাধুলায় মেয়েদের এগিয়ে যাওয়া দেখে খুশি হয়েছি।
নবাব ফয়জুন্নেছা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার জানান, এত প্রাণবন্ত, এত চমৎকার আয়োজন ছিল বলে বোঝানো যাবে না।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠক নাজমুল হাসান পাখী,রাশেদা আক্তার, অনিমা মজুমদার ও শাহ মো.সেলিম প্রমুখ।