আখাউড়ায় রেলপথে নাশকতা ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা

মো.ফজলে রাব্বি,আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ।।
অন্যান্য বাহিনীর মত রেললাইন পাহারায় অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন আনসার ভিডিপির সদস্যরা। দেশের পূর্বাঞ্চল রেলপথের সর্ববৃহৎ রেল জংশন আখাউড়া। আর এই রেলস্টেশন দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেটে প্রায় অর্ধশতাধিক যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেন, মেইল ট্রেন, লোকাল ট্রেন ও মালবাহী ট্রেন যাতায়াত করে থাকে।
রেলপথে রেল চলাচল সুরক্ষিত করতে ও ছোট বড় ব্রিজে নাশকতা ঠেকাতে আখাউড়া স্টেশনে ও রেললাইনে দিন রাত পাহারা দিচ্ছে আনসার ভিডিপি ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা।
আখাউড়া উপজেলা আনসার ও বিডিবি’র অফিস সূত্রে জানা গেছে, রেলপথ সুরক্ষার জন্য ৫৭ জন আনসার সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। তারা আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন, উপজেলার গঙ্গাসাগর রেল স্টেশন, মনিয়ন্দ, দেবগ্রাম এলাকা, তিতাস রেল ব্রিজ ও খড়মপুর রেল ব্রিজে ৩ শিফটে পাহারা দিচ্ছেন। তার মধ্যে রাতে ৫ জন, এবং দিনের বেলায় ৪ জন করে আনসার সদস্যরা পর্যায়ক্রমে পাহারা দিচ্ছেন। তাদের পাশাপাশি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরাও পাহারা দিচ্ছেন।

২৩ ডিসেম্বর রাতে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনসহ রেলপথের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্ট সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, আখাউড়া রেলস্টেশনে আনসার বাহিনীর ৫ জন সদস্য হাতে লাঠি ও টসলাইট নিয়ে রেললাইনের ধারে পাহারা দিতে দেখা গেছে। আনসার ভিডিপি’র সদস্যের সাথে কথা বললে তারা জানান, সরকারি নির্দেশ মোতাবেক দায়িত্ব পালনে তারা বদ্ধ পরিকর। যেকোন নাশকতা মোকাবেলায় তারা সজাগ আছে।

আখাউড়া উপজেলা আনসার ও ভিডিপি’র কর্মকর্তা মো.আরাফাত হোসেন জানান, রেলপথে নাশকতা ঠেকাতে উপজেলা আনসার ভিডিপি’র পক্ষ থেকে ৩ শিফটে ৫৭ জন সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর থেকে তারা টানা রেলপথ ও রেলের ব্রিজগুলোতে রাতদিন পাহারা দিচ্ছেন। প্রচন্ড কুয়াশা ও শীতে আনসার ভিডিপি’র সদস্যরা রাত জেগে রেল লাইন পাহারায় নিয়োজিত রয়েছেন। তাদেরকে পতাকা ও লাঠি-বাঁশি দেওয়া হয়েছে।

আখাউড়া রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) ইনচার্জ মোঃ আবু সুফিয়ান ভূঁইয়া জানান, আনসার সদস্যদের পাশাপাশি ৪/৫ জনের টিম করে আরএনবি’র সদস্যরা স্টেশন ও রেললাইন পাহারা দিচ্ছেন। আরএনবি সদস্য সংকট থাকায় জেলা আনসার বিডিপির কাছে আরো ১০ জন আনসার সদস্য চাওয়া হয়েছে। আশা করি ২/৩ দিনের মধ্যে পেয়ে যাবো। এই ১০ জন সদস্য আসলে আরএনবি সাথে মিলে নাশকতা ঠেকাতে আরো জোরদার করা হবে। আমরা যাত্রীদের সেবা ও রেলস্টেশন এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা নাশকতা ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।