আবর্জনার দেড় লাখেও নজর বাহারের!

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লা নগরীতে হাসপাতাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দেড় লাখ টাকার লোভও সামলাতে পারেননি সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। বেশি টাকা পেয়ে সাইনবোর্ড সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়ে নগরবাসীকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলেন।
সূত্র জানায়,ইনোভেশন সেবা সংস্থা ১৪ বছর ধরে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় হাসপাতাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করে আসছিল। মেয়র আরফানুল হক রিফাতের সময় সাবেক এমপি বাহারের নির্দেশে তাদের কাজ বন্ধ করে দেন। অবৈধ সুবিধা নিয়ে অভিজ্ঞতাবিহীন সূর্যমুখী সামাজিক সংস্থাকে অনুমতি দেয়া হয়। এ সংস্থার মালিক সোনালী ব্যাংকের সাবেক সি বি এ নেতা হাসান খসরু। তিনি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাহারের কৃপাদৃষ্টি আদায় করলেও সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে বাহারের মেয়ে মেয়র তাহসিন বাহার সূচনা এ কাজটি ইনোভেশন সংস্থাকে পুনরায় করার অনুমতি দেন। চুক্তি হয় মাসে দেড় লাখ টাকা করে দিতে হবে। ইনোভেশন সেবা সংস্থা তাহসিন বাহার সূচনার হাতে তিন মাসের অগ্রিম সাড়ে ৪লাখ টাকা সাবেক কাউন্সিলর শিপনের মাধ্যমে পৌঁছে দেন। একথা জেনে বাহার ক্ষিপ্ত হয়ে সূচনা ভর্ৎসনা করেন। তিনি এ কাজ পুনরায় সূর্যমুখী সামাজিক সংস্থাকে দিতে বলেন। মেয়র সূচনা তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে পুনরায় কাজটি সূর্যমুখী সামাজিক সংস্থাকে করার অনুমতি দেন।
এ ব্যাপারে ইনোভেশন সেবা সংস্থার সভাপতি মোঃ মতিউর রহমান খান বলেন, আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার কুমিল্লা শহরকে চাঁদাবাজ মুক্ত করেছেন বলে দাবি করেন। এদিকে তিনি দেড় লক্ষ টাকার লোভ সামাল দিতে পারেননি। তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে মেথরের কাজ আনাড়ি একটি সংস্থাকে দিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে ওই সংস্থার মালিক পালিয়ে যাওয়ায় হাসপাতাল বর্জ্য সংগ্রহ ও পরিবহন বিঘিœত হচ্ছে। একই সাথে বাড়ছে নাগরিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
তিনি আরও বলেন, কাজটি পুনরায় ইনোভেশন সেবা সংস্থাকে দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছেন।
সিটি করেপারেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, সিটি করপোরেশনকে কোন সংস্থা টাকা দিতে হয় না। সিটি করপোরেশন তাদের শুধু অনুমতি দেয়। তিনি আরো বলেন, সূর্যমুখী মাঝে কাজ না করলেও এখন আবার শুরু করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেন, ইনোভেশনের মোটামুটি কারিগরি সরঞ্জাম আছে। সূর্যমুখী সাইনবোর্ড সর্বস্ব একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের হাসপাতাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোন সরঞ্জাম নেই। তারা সাধারণ বর্জ্যের মতো এগুলো ফেলছে। আমরা প্রথমে আপত্তি দিলেও এমপি-মেয়রের চাপে টিকতে পারিনি।