আবাসিক হোটেলের আড়ালে যৌন ব্যবসা, আটক-৩৩
মোহাম্মদ শরীফ।
জীবিকার তাগিদে নাটোর থেকে কুমিল্লা ইপিজেডে কাজ করতে আসেন ইয়াছমিন। সেখানে পরিচয় হয় শান্ত নামের একজনের সাথে। থাকার জায়গার সন্ধানে থাকা ইয়াছমিনকে শান্ত কৌশলে নিয়ে যান কুমিল্লার জাগুরঝুলি বিশ্বরোডে নিজের প্রতিষ্ঠিত রাজধানী আবাসিক হোটেলে৷ সেখানে জোর করে বাধ্য করেন পতিতাবৃত্তিতে। মঙ্গলবার এক অভিযানে ইয়াছমিনসহ পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা আরো ২০ নারীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তবে পলাতক রয়েছেন মূলহোতা হোটেল মালিক শান্ত।
কুমিল্লা কোতওয়ালী মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ সনজুর মোরশেদ জানান, ‘ ইয়াছমিন হোটেলে উঠলে শান্ত তাকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। জাগরঝুলি বিশ্বরোড নিউ রাজধানী আবাসিক হোটেলে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য হওয়া ইয়াছমিনকে উদ্ধার করে। এছাড়া হোটেলের ম্যানেজার ও কর্মচারীসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাছাড়া অভিযানে পতিতাবৃত্তির সাথে যুক্ত আরো ২০ জন বিভিন্ন বয়সের নারী ও ৬ জন খদ্দেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক সময়ের হোটেল বয় জসিম উদ্দিন শান্ত কুমিল্লা ও ঢাকায় আবাসিক হোটেল ব্যবসার আড়ালে পতিতা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন দীর্ঘদিন যাবৎ৷ এই ব্যবসায় হোটেল বয় থেকে কোটিপতি বনে গেছেন অল্প দিনেই। টিনের চালা থেকে গ্রামের বাড়ি দেবিদ্বারের নুরপুরে গড়ে তুলেছেন আলিশান বাড়ি। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তার হোটেলে চলে মাদকের কারবার। চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অসংখ্য নারীকে যৌন পেশায় বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে হোটেল মালিক শান্তর বিরুদ্ধে।