আমার দেখা কুমিল্লার দুই অভিজাত অমায়িক ভদ্রলোক

।। প্রদীপ সিংহ রায় মুকুট ।।
আজ কুমিল্লার দুইজন বিরল কিন্তু অভিজাত অমায়িক ভদ্রলোক সম্বন্ধে আলোকপাত করবার জন্য কলম ধরেছি।
তাঁরা হলেন কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী সাপ্তাহিক “আমোদ”-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী আমাদের প্রিয়জন রাব্বী ভাই ও আমার জ্যেঠামশাই সর্বজনশ্রদ্ধেয় বাদুরতলার সিংহ প্রেস-এর স্বত্ত্বাধিকারী এবং দেশের অন্যতম প্রাচীন গ্রুপ থিয়েটার দ্য গ্রেট ভার্ণাল থিয়াটার-এর সভাপতি অরুণ কুমার সিংহ। তিনি কুমিল্লায় অবশ্য “বুদ্ধুদা” বা “বড়দা” হিসেবে সমধিক পরিচিত ছিলেন।
গত ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, মঙ্গলবার কুমিল্লার তথা সম্ভবত: নিয়মিত প্রকাশনার প্রশ্নে দেশের সবচাইতে প্রাচীন সংবাদপত্র সাপ্তাহিক আমোদ-এর তরুণ কিন্তু ভিশনারী ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মহিউদ্দিন মোল্লা পত্রিকাটির ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বিশেষ সংকলনের জন্য লেখা দেবার আহ্বান জানান। একেই পবিত্র ঈদুল ফিতর উৎসবের দুদিন আগে থেকেই ব্যক্তিগত কম্পিউটার বিকল রয়েছে। তার ওপর প্রথমবারের মতো ছয় ছয় দিনের সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বন্ধ শুরু হবে। কম্পিউটারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ পাওয়া যাবেনা। সেসময়। সেইজন্যে একটা কিংকর্ত্তব্যবিমূঢ় অবস্থা।
আমাদের প্রিয় সংবাদপত্র আমোদ ও এর দূরদর্শী এবং দৃষ্টান্তস্থাপনকারী সম্পাদক মরহুম মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী সম্বন্ধে বিগত ৬৯ বছর ধরে নানাবিধ প্রসঙ্গে অনেক লেখা হয়ে গিয়েছে। তাই কোন প্রসঙ্গে লিখবো ছোট্ট ভাই ও সহকর্মী-বন্ধু মোল্লাকে জিজ্ঞেস করলাম। ও বললো স্মৃতিচারণমূলক থেকে সাংবাদিকতা এবং ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্ক সম্বন্ধে লেখা যেতে পারে।
হঠাৎ করেই মনে পড়লো রাব্বী ভাই যেমন নিপাট অমায়িক অভিজাত ভদ্রলোক ছিলেন তেমনি আমার সর্বজনশ্রদ্ধেয় জ্যেঠামশাই শতাব্দীপ্রাচীন (১৮৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত) সিংহ প্রেসের স্বত্ত্বাধিকারী এবং দেশের অন্যতম প্রাচীন গ্রুপ থিয়েটার দ্য গ্রেট ভার্ণাল থিয়েটারের সভাপতি প্রয়াত অরুণ কুমার সিংহও বংশপরম্পরায়, কথাবার্তায়, চালচলনে এবং পোষাকআশাকে অভিজাত ও অমায়িক ভদ্রলোক ছিলেন। তিনি ছিলেন দেশের কোন সংবাদপত্রের প্রথম মহিলা সম্পাদক এবং কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত এ অঞ্চলের প্রথম সংবাদপত্র সাপ্তাহিক “ত্রিপুরা হিতৈষী”-কর্ণধার উর্মিলা সিংহের বড় ছেলে।
দু’জনই প্রেস মালিক ছিলেন বলে এবং কুমিল্লার সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে যথেষ্ট জনপ্রিয় ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য হওয়ায় এক অদৃশ্য শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, আন্তরিকতা ও হার্দিক সৌজন্যবোধের বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন চিরটাকাল। রাব্বী ভাই অরুণ কুমার সিংহকে কুমিল্লার সমসাময়িক আর সবার মতোই “বড়দা” বলে সম্বোধন করতেন।
সেসময়টায়, বিশেষ করে পাকিস্তান আমলের শেষ অবস্থায় অর্থাৎ ষাটের দশকে, কুমিল্লায় নিষিদ্ধ পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিষ্ট পার্টি সমর্থিত প্রেস শ্রমিক ইউনিয়ন বেশ শক্তিশালী ছিল। অতি সাধারণ কারণে অকারণে শ্রমিক নেতা সত্যনারায়ণ দাশের নেতৃত্বে অঘোষিত ধর্মঘট ডেকে, যাকে ওয়াইল্ড ক্যাট স্ট্রাইক বলে, কুমিল্লার সব ছাপাখানায় কাজ বন্ধ করে দিতো।
কুমিল্লা জেলা প্রেস মালিক সমিতির সভাপতি ছিলেন অরুণ কুমার সিংহ। বয়েসে একটু ছোট হলেও বুদ্ধিমত্তা, তাৎক্ষণিক বিচারবোধ, পরিকল্পনা এবং সিদ্ধান্ত নিতে পারঙ্গম বলে রাব্বী ভাই নির্বাচিত হয়েছিলেন সহ-সভাপতি।
পারিবারিক কোন কাজে হঠাৎ করেই বাদুরতলার সিংহ প্রেসে দোতলায় ঢুঁ মারলে দেখেছি অনেক সময় রাব্বী ভাই আমার জ্যেঠু যাঁকে “জ্যা” বলে ডাকতাম তার সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় নিমগ্ন রয়েছেন। তাঁদের দু’জনকেই প্রচন্ড সমীহ করতাম বলে যত দ্রুততার সঙ্গে সেখান থেকে পালিয়ে আসা যায় তার চেষ্টা করতাম। তবে কি কারণে প্রেসে ধরনা দিয়েছি তা কোনক্রমে আমার জ্যেঠুকে জানানোর পরপরই।
আমাদের সিংহ প্রেসে সত্যনারায়ণ দাশ অন্যতম সিনিয়র কম্পোজিটার ছিলেন । তাই মালিক ও শ্রমিক উভয় পক্ষের সুবিধার্থে কনসিলিয়েটারী বা সমঝোতামূলক আলোচনা সিংহ প্রেসেই হতো। রাব্বী ভাই সেখান অবশ্যই উপস্থিত থাকতেন। তাঁর গুরুত্বপূর্ণ এবং উভয়পক্ষের জন্যে গ্রহণযোগ্য মতামত দিতেন। আর একবার এমনি অঘোষিত ধর্মঘটে পড়ে কুমিল্লার প্রেসগুলো। আশির দশকে। সনটা সঠিক মনে নেই।
সেসব নির্ধারিত ও অনির্ধারিত আলোচনা সভায় নাজেরিয়া প্রেসের কামাল উদ্দিন, মোহিনী প্রেসের মোহিনী চৌধুরী, পুরাত্বত্ত্ব প্রেসের সম্প্রতি প্রয়াত বিচারপতি সৈয়দ আমীরুল ইসলামের পিতা সৈয়দ আবদুল ওয়াহেদ, কর্ণফুলী প্রেসের আবদুল হালিম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রেসের শিবলী নোমানী, তক্দির প্রেস, নূতন প্রেস ইত্যাদি প্রেসের মালিকবৃন্দ উপস্থিত থাকতেন।
সব্বার নাম এক্ষণে মনে আসছেনা। তবে, সৈয়দ আবদুল ওয়াহেদ ছিলেন অরুণ সিংহের খুব পছন্দের একজন ব্যক্তিত্ব। তিনি সময় সময় আমাদের তালপুকুরপাড়ের বাসা “শান্তি কুটির”-এ আসতেন। অরুণ সিংহের সঙ্গে আলাপচারিতার নিমিত্তে, দেখেছি।
একবার, সালটা সঠিক মনে নেই, সম্ভবত: উনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থানের কালে কুমিল্লার প্রেস শ্রমিকরা তাদের বেতনভাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্নমুখী দাবিদাওয়া বাস্তবায়নের জন্য ওয়াইল্ড ক্যাট বা পূর্বঘোষণা ব্যতিরেকে ধর্মঘট শুরু করে। বেশ কিছুদিনের জন্য কুমিল্লার সব প্রেসের চাকা বন্ধ হয়ে পড়ে। আর একবার কুমিল্লার প্রেসগুলো এমনি অঘোষিত ধর্মঘটে পড়ে আশির দশকে। তবে, সনটা সঠিক মনে করতে পারছিনা।
কিন্তু, কুমিল্লাবাসী হতবাক হয় একটা আশ্চর্যজনক দৃশ্য দেখে। আমোদ প্রেসে কম্পোজ ও প্রিন্ট সবই চলছে। এবং যথারীতি নির্দিষ্ট দিনে সাপ্তাহিক আমোদ প্রকাশিত হয়েছে। আর তা সম্ভব হয়েছে কেবলমাত্র পত্রিকাটির দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সম্পাদক রাব¦ী ভাই তাঁর সহধর্মিনী, একমাত্র ছেলে এবং তিন কন্যার সব্বাইকেই একটা একটা টাইপ গেঁথে কম্পোজিটিং স্টিকে সাজিয়ে কিভাবে কম্পোজ করতে হয় তা তালিম দিয়েছিলেন বলে। তিনি তাদের ছাপার জন্য ছোট ট্রেডেল মেশিন কিভাবে চালাতে হয় তাও শিখিয়েছিলেন। তারা সবাই খুঁটিনাটি কাজ করে প্রেসটি সচল রেখেছিলেন সেসময়। আপদকালীন সময়ে।
আর রইলো শিরোনামে যা বলেছিলাম সে প্রসঙ্গ । অরুণ কুমার সিংহ ও মো. ফজলে রাব্বী দু’জনের মধ্যেই উষ্ণ সদ্ভাব, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত মধুর সম্পর্ক আজীবন বিরাজিত ছিলো। দু’জনের আভিজাত্য, কথাবার্র্ত্তা, চালচলন, ব্যবহার ও পোষাকপরিচ্ছদে এক অদ্ভূত সামঞ্জস্য বা মিল ছিলো। রাব্বী ভাই ছিলেন কুমিল্লা শহরের মোঘলটুলী নিবাসী আমাদের বাংলা সাহিত্যের স্যার ভিক্টোরিয়া কলেজের বরেণ্য অধ্যাপক মোবাশে^র আলী সাহেবের ভাগ্নী জামাই। অপর দিকে এর আগেই উল্লেখ করেছি, অরুণ কুমার সিংহ ছিলেন সমগ্র ত্রিপুরা অঞ্চলের পথিকৃৎ সংবাদপত্র ব্যক্তিত্ব সাপ্তাহিক “ত্রিপুরা হিতৈষী”-র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক গুরুদয়াল সিংহের নাতি এবং পরবর্তী সম্পাদক সম্ভবত: দেশের প্রথম মহিলা সম্পাদক উর্মিলা সিংহের ছেলে।
রাব্বী ভাই সাদা শেরওয়ানী, প্যান্ট-শার্ট ও পাজামা-পাঞ্জাবি আজীবন পরিধান করেছেন। বিদেশ ভ্রমণের সময় অবশ্য স্যুট, কোট, টাই ও প্যান্ট-শার্ট পরেছেন। তেমনি সাদা শার্ট, পাঞ্জাবি, পাজামা এবং বাদুরতলার বিহারী টেইলার্স আজিজ ভাই অ্যান্ড সন্স থেকে বানানো একটা অপেক্ষাকৃত বড় কালো কোট পরতেন অরুণ কুমার সিংহ। অবশ্যই শীতকালে।
ছ’ফুট উচ্চতার দু’জনারই সুন্দর এবং ব্র্যান্ড জুতো পছন্দ ছিলো। খেলার সময় বাদ দিলে রাব্বী ভাই সাধারণত: মোকাসিনের জুতা পরতে পছন্দ করতেন। অন্যদিকে, অরুণ কুমার সিংহের পছন্দ ছিলো অক্সফোর্ড পাম সু।
দু’জনের সঙ্গে কারো পরিচয় হলে তারা বলতেন, এমন অমায়িক ভদ্রলোক খুবই বিরল আমাদের আজকের সমাজে। কেননা সর্বস্তরের মানুষ, তা শ্রমিক থেকে উপরতলার প্রতিনিধিত্বকারী যেই হোন, সব্বাই তাঁদের দু’জনার মধুর, নিরহঙ্কারী ও ভদ্রজনোচিত অমায়িক ব্যবহারে বিমোহিত হয়েছেন। আমি গর্বভরেই বলছি, অনেকজনকেই বলতে শুনেছি, “এমন ভদ্রলোক এ জীবনে আর দেখিনি”।
ফজলে রাব্বী ভাই-এর কাছ থেকে যারাই সাংবাদিকতায় ন্যূনতম টিপস্ পেয়েছেন বা প্রশিক্ষণের সুযোগ লাভ করেছেন তারাই পরবর্তীতে নামকরা সাংবাদিক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। তেমনি, অরুণ কুমার সিংহের সাহচর্যে যারাই এসেছেন তারাই পরবর্র্তীতে সফল সংগঠক বলে গণ্য হয়েছেন । অন্তত:পক্ষে কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে।
একটা কথা না বললে রাব¦ী ভাই-এর মহান্ভুবতার কথা অনুল্লেখ থেকে যাবে। ৮০-র দশকের মাঝামাঝি সময়ে সিংহ প্রেসের জার্মানির তৈরি “রাইন” ফ্ল্যাট মেশিনটা বিকল হয়ে যায়। আমি তখন সিংহ প্রেসের দায়িত্ব ঠ্যাকা দিয়ে সামলাচ্ছি। গ্রাহকের অর্ডারপত্র যা ছিলো তা ঠিক সময়ে দিতে পারছিনা। মূল মুদ্রণযন্ত্র বিকল হওয়ায়। ঘটনাক্রমে ওই সময়ই আমোদ প্রেস-এর একটা ফ্ল্যাট বেড সারাই করতে ঢাকা থেকে একজন অভিজ্ঞ মিস্ত্রি আসেন। আমি রাব্বী ভাই-এর স্মরণাপন্ন হই। তিনি তাঁর প্রেসের বিকল হওয়া মেশিনের সারাই কাজ বন্ধ রেখে ঐ মিস্ত্রি সাহেবকে আমাদের প্রেসে পাঠান। অল্প কিছুসময় পর সেই মিস্ত্রী সাহেব সিংহ প্রেসের ফ্ল্যাট মেশিন পুনরায় চালু করে দেন। আমরা হাফ ছেড়ে বাঁচি । কেবলমাত্র রাব্বী ভাই-এর বদান্যতায়।

inside post

(প্রদীপ সিংহ রায় মুকুট)
আর একটা ব্যাপারে দু’জনার অপূর্ব সাযুুজ্য পরিলক্ষিত হয়। দু’জনই ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন। দুটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের অধীনে। মুসলিম লীগ ও সর্বভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। রাব্বী ভাইতো ছিলেন কুমিল্লা জেলা মুসলিম লীগের সিলার বা দলপতি। আর অরুণ কুমার সিংহের কৈশোর ও যৌবনের কিছুটা কাল কেটেছে গান্ধিজী প্রতিষ্ঠিত অভয় আশ্রমে। কঠিন অনুশীলন ও নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে। তবে জেলা কংগ্রেসের বড় কোন পদ বা পদবী নেননি অরুণ কুমার সিংহ । ছিলেন জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সদস্য মাত্র । অলিখিতভাবে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন পুরাতন অভয় আশ্রমে বর্তমানে কেটিসিসিএ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সমবায় আন্দোলনের পথিকৃৎ কিংবদন্তি মরহুম আখতার হামিদ খান কোতয়ালী থানা সেন্ট্রাল কোঅপারেটিভ অ্যাসোসিয়েশান বা কোতয়ালী থানা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি সেথায় প্রতিষ্ঠা করেন। সরকারী পৃৃষ্ঠপোষকতায় । ষাটের দশকে।
সেসময়কার কুমিল্লার সুধীসমাজে রাব্বী ভাইয়ের সহধর্মিনী এবং পরবর্তীতে আমোদ সম্পাদক শামসুন্ন্াহার রাব্বী এবং অরুণ কুমার সিংহের স্ত্রী আমার জ্যেঠিমা উমা সিংহ আপওয়া-র (অল পাকিস্তান উইমেন্স এ্যাসোসিয়েশান) সদস্যা ছিলেন। তাঁদের দেখেছি কুমিল্লা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রদর্শনীর আপওয়া স্টলে বিভিন্ন প্রকার ঘরে তৈরি খাবার সামগ্রী বিক্রিতে অংশ নিতে। প্রদর্শনীতে বিক্রিত সমূদয় অর্থ মূলত দু:স্থ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী হিসেবে বিতরণ করবার জন্য সংগৃহিত হতো।
পরিশেষে, পরমপিতার দরবারে প্রার্থনা জানাই, কুমিল্লার এই দু’জন কৃতি বরেণ্য সন্তানকে তাঁর সুবিশাল ক্রোড়ে আশ্রয় দিন এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার চিরশান্তি বিধান করুন।
লেখক:জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা প্রেস ক্লাব।

আরো পড়ুন