আশুগঞ্জে সড়ক নির্মাণ দাবীত বিক্ষোভ-প্রতিবাদ সভা

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে খাদ্যশস্য লোড-আনলোড করাসহ সরকারি-বেসরকারি কাজে ব্যবহৃত রাস্তাটি আজও হয়নি পাকাকরণ। খাদ্য বিভাগের কার্যাদেশও হচ্ছে না কার্যকর। অদৃশ্য কারণে রাস্তা নির্মাণ না হওয়ার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে রাস্তা নির্মাণের দাবীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে চাতাল কল মালিক, প্রান্তিক কৃষক ও শ্রমিকরা। আশুগঞ্জ রেলগেইট থেকে খাদ্য গুদাম (এলএসডি) এলাকা পর্যন্ত সংযোগ রাস্তাটি দ্রুত নির্মাণ করার দাবী জানানো হয়।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকালে আশুগঞ্জ উপজেলা সদরের খাদ্যগুদাম সড়কে চাতাল কল মালিক সমিতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও উপজেলা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত থেকে বক্তৃতা করেন জেলা চাতাল কল মালিক সমিতি সভাপতি বাবুল আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক স্বপন ভূইঁয়া, আশুগঞ্জ উপজেলা চাতাল কল মালিক সমিতি সহ-সভাপতি দারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হেলাল সিকদার প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, ১৯৫৮-৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ এলএসডি নির্মিত হয়। পরিত্যক্ত রেল লাইনের উপরের কাঁচা মাটির রাস্তাটি বিগত ৫০ বছর যাবৎ আশুগঞ্জ এলএসডির খাদ্যশস্য লোড-আনলোড ও পরিবহনের কাজসহ স্থানীয়রা চলাচলের জন্য ব্যবহার করছেন। কাঁচা রাস্তাটি  যান চলাচলের জন্য একেবারেই অনুপযোগী। সামান্য বৃষ্টি হলে লোড-আন লোডের জন্য ট্রাকসহ জনসাধাধান চলাচল করতে পারে না। আমরা মিল মালিকরা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা র্দীঘদিনের অনুরোধে ‘সারাদেশে পুরাতন খাদ্য গুদাম ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদির মেরামত নতুন অবকাঠামো প্রকল্প’র অধীনে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে আশুগঞ্জ এলএসডির কাঁচা রাস্তাটি বিটুমিনাস কার্পেটিং জন্য কার্যাদেশ প্রদান করেন খাদ্য বিভাগ। কাজ শুরু হওয়ার রেলওয়ে একটি চক্র নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যা খুবই দু:খজনক। দ্রুত রাস্তাটি কাজ শেষ করাসহ সকল ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবি জানান। নতুবা লকডাউন শেষে কঠোর কর্মসূচি হুমকি প্রদান করে মিল মালিক, প্রাপ্তিক কৃষক ও শ্রমিকরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী জানান, ‘এই রাস্তাটি খুবই গুরত্বর্পূণ। সড়কটি সংস্কার ও মেরামত করার জন্য র্দীঘদিন যাবৎ মিল মালিক ও স্থানীয় প্রতিনিধিসহ জনসাধারন দাবী জানিয়ে আসছেন। তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে খাদ্য বিভাগ এই কাচাঁ রাস্তাটি বিটুমিনাস কার্পেটিং করার কার্যদেশ প্রদান করেন। রেলওয়ে কেন বিরোধিতা করছে বুঝতে পারছি না। আমরা পুরো বিষয়টি আমাদের কৃর্তপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি।’