আড়াইওড়া সড়কে খেয়াঘাট !

 

মাহফুজ নান্টু ঃ

শাসনগাছা- মিরপুর সড়ক। সড়কটির আড়াইওড়া অংশে ভেঙ্গে ভয়ংকর অবস্থা হয়েছে। জায়গাটিকে অনেকে ঈদগাহ এলাকা নামে চিনে। সড়কটির এ অংশে অন্তত পাঁচ’শ মিটারজুড়ে বড় গর্ত। এসব গর্ত ও খানাখন্দের কারণে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। ভাঙ্গা সড়কে হাঁটু সমান পানি। কাঁদাজলে মাখামাখি। সড়কের এই ভাঙ্গায় কত গাড়ি ভাঙ্গছে। কত বাহন বিকল হচ্ছে। ভাঙ্গা সড়কে দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রী ও পথচারীরা। গাড়ি চালকরা যাত্রী নামিয়ে ভাঙ্গা অংশ পার হয়। অনেকে এটিকে খেয়াঘাট বলে মন্তব্য করেন। কেউ জানে না সর্বশেষ কবে এই সড়কটির এই অংশটি সংস্কার হয়েছিলো।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শাসনগাছা ঈদগাহ থেকে আড়াইওড়া পর্যন্ত সড়কটি ভাঙ্গা। পানি কাঁদায় মিলে যেন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়ে আছে। সিএনজি চালিত অটোরিক্সাগুলো খুবই সাবধানে পার হয়। ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার যাত্রীরা বাহন থেকে নেমে রাস্তা পারাপার হয়। প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসগুলো যাত্রী নামিয়ে ভাঙ্গা অংশ পার হয়। তারপর যাত্রী উঠিয়ে গন্তব্যে রওনা করে।

শাসনগাছা-মিরপুর সড়কটি আদর্শ সদর, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া মিলিয়ে তিনটি উপজেলার মানুষের যাতায়াত। আর প্রতিদিন অন্তত ২০ হাজার মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে সড়কটি ব্যবহার করেন। এত মানুষের প্রয়োজনীয় সড়কটি দীর্ঘ বছর ধরে ভেঙ্গে আছে। এত ব্যস্ত এ সড়কটি সংস্কারে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই।
আড়াইওড়া এলাকার রিক্সা চালক শফিক জানান, গর্তে পড়ে প্রতিদিন অন্তত দুতিন’টি করে সিএনজি কিংবা অটোরিক্সা বিকল হচ্ছে। বাহন উল্টে বহু যাত্রী আহত হয়। দীর্ঘ দিন এমন বেহাল অবস্থায় আছে সড়কটি।

শাসনগাছা ঈদগাহ এলাকার মিলন মিয়া জানান, কবে সড়কটি পূর্ণাঙ্গ সংস্কার হয়েছে আমরা কেউ জানি না। মাঝে মাঝে রাতের আঁধারে ইটের খোয়া ফেলে দায়সারা গোছের সংস্কার হয়। এরপর আবার সেই ভোগান্তি। মিলন মিয়া আক্ষেপের সুরে বলেন, পুরো বাংলাদেশে এর চেয়ে খারাপ রাস্তা আর নেই।

শাসনগাছা মিরপুর সড়কের সিএনজি অটো রিকশা চালক নাছের জানান, সড়কটির ভাঙ্গা অংশের জন্য খুব ভোগান্তিতে আছি। গর্তে পড়ে এ পর্যন্ত চারবার আমার সিএনজি চালিত অটোরিক্সাটি বিকল হয়। অটোরিক্সা চালক সোহেল জানান, তার অটোরিক্সার ব্যাটারিতে গর্তের পানি ডুকে যায়। পরে ব্যাটারি ঠিক করাতে সাত’শ টাকা খরচ হয়। শুধু ভাঙ্গা অংশটির জন্য যাত্রী-চালক ও পথচারীদের এত ভোগান্তি।

কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ বিভাগ গণমাধ্যমকে বহুবার বলেছে সড়কটি সংস্কার করবে। তবে গত দু’ বছরে সড়কটি সংস্কার হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম¥দ আহাদ উল্লাহ জানান, সড়কটির এ অংশসহ অন্য আরো কয়েকটি সড়কের জন্য ঢালাই করে সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বরাবার জানিয়েছি। আশা করি অচিরেই সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু করতে পারবো।