এবার কুমিল্লায় হয়নি শচীন মেলা

আমোদ প্রতিনিধি।।
সঙ্গীতজ্ঞ শচীন দেব বর্মণের মৃত্যুবার্ষিকী রবিবার। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মারা যান তিনি।
সুর সম্রাট শচীন দেব বর্মণের মৃত্যুবার্ষিকীতে নগরীর দক্ষিণ চর্থায় তার পৈতৃক ভিটায় ২০১৬সাল থেকে ৩০-৩১ অক্টোবর মেলার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। ২০২০সালে করোনার প্রকোপ থাকায় মেলা হয়নি। এবার কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপকাণ্ডে মেলার আয়োজন করেনি জেলা প্রশাসন।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, শচীন দেব বর্মণের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ৭ নভেম্বর কর্মসূচির আয়োজন করবো আমরা। এবার মেলা হচ্ছে না।
সূত্রমতে, সঙ্গীতঙ্গ শচীন দেব বর্মণ ১৯০৬ সালের ১ অক্টোবর চর্থার গোলপুকুরপাড়ে জন্মগ্রহণ করেন। শচীন দেব বর্মণের পিতা নবদ্বীপ কুমার বর্মণ ছিলেন তৎকালীন ত্রিপুরার মহারাজ বীরচন্দ্র মাণিক্য বাহাদুরের সৎ ভাই। নবদ্বীপ বর্মণ ছিলেন শিক্ষাদীক্ষা-সংস্কৃতিতে চৌকস। তাই বীরচন্দ্র মাণিক্য বাহাদুর তার পথের কাঁটা দূর করার জন্য নবদ্বীপ কুমার বর্মণকে নিগৃহীত করার চেষ্টা করেন। তখন শচীন দেব বর্মণের পিতা রাজবাড়ির কর্মকর্তা কৈলাস সিংহের পরামর্শে ১৮৭০ সালের মাঝামাঝি সময়ে সপরিবারে কুমিল্লায় এসে বসতি স্থাপন করেন। এ বাড়িতেই শচীন দেব বর্মণের শিশুকাল,  কৈশোরকাল ও যৌবনের কিছু অংশ অতিবাহিত হয়। শচীন দেব বর্মণ সঙ্গীতে অবদানের জন্য ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মশ্রী উপাধিতে ভূষিত হন। তিনি ১৯৭৫ সালের ৩১ অক্টোবর মারা যান।
রঙিলা রঙিলা রঙিলারে, তুমি এসেছিলে পরশু, তোরা কে যাসরে ভাটির গাঙ বাইয়া, তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ও শোন গো দখিন হাওয়া/ প্রেম করেছি আমিসহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। তার স্ত্রী মীরা দেব বর্মণও উপমহাদেশের অন্যতম গীতিকার। ছেলে রাহুল দেব বর্মণ সঙ্গীতাঙ্গনে ভিন্নতা এনেছেন। পুত্রবধূ আশা ভোঁসলে উপমহাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের অনন্য নাম।