ওমানে প্রবাসীকে হত্যার দাবি পরিবারের
আমোদ প্রতিনিধি।।
ওমানে কুমিল্লার দুলালকে (৩৭) তার সঞ্চিত অর্থের লোভে কেউ হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে বলে তার পরিবারের দাবি। তারা বলেন, মাটিতে পা লাগানো অবস্থায় গলায় ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আত্মহত্যা হলে লাশ ঝুলানো থাকতো। এভাবে কেউ নিজ থেকে ফাঁস দিতে পারেনা। তবে তার মালিকের উদ্বৃতি দিয়ে পুলিশ জানায় সে আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের সদস্যরা হত্যা রহস্য উদঘাটনে পরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চেয়েছেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়,কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে দুলাল ২০১২ সালের শেষ দিকে ওমানে গমন করেন। সেখানে আল মোবারক নামের একটি কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। কোম্পানিটি ওমানের সালালা শহরে অবস্থিত। তবে শ্রমিকরা থাকতো ইবরা নামের অন্য একটি শহরে। সেখানে একটি কক্ষে দুলালসহ আটজন বাঙালি বসবাস করতো। সাম্প্রতিক সময়ে করোনার প্রভাবে তারা আটজনেই একই কক্ষে ছিলেন।
দুলালের সহকর্মী কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার বাতাইছড়ি এলাকার আবুল কালাম মোবাইল ফোনে জানান, প্রতি দিনের মতো গত ৮ নভেম্বর দুপুরে (ওমান সময়) সবাই খাবার খেয়ে বিশ্রামে যাই। কিছু সময় পরে পাশে থাকা এক নাইজেরিয়ান চিৎকার করলে বাইরে গিয়ে দেখি দুলালের লাশ কক্ষের বাইরের জানালার পাইপের সাথে গামছা দিয়ে ঝুলানো। তবে তার পা মাটিতে লাগানো ছিল। পুলিশ দুলালের কক্ষের বাকী সাতজন বাংলাদেশী ও পাশের একটি কক্ষের চারজন পাকিস্তানীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একই সময় প্রথম দেখা নাইজেরিয়ান ও কোম্পানির একজন সুপারভাইজারকে থানায় নিয়ে গিয়ে আঙ্গুলের ছাপ,স্বাক্ষর ও আকামা রেখে ছেড়ে দেয়। দুলাল ভালো মানুষ ছিলো,কারো সাথে কোন ঝগড়ায় নেই।
নিহত দুলালের বড় ভাই আওয়াল হোসেন জানান,আমরা চার ভাই। অভাব ছিলনা পরিবারে। সেজন্য দেশে টাকা পাঠানোর প্রয়োজনীয়তাও তেমন ছিলনা। ফলে দুলাল আট বছরের সমস্ত সঞ্চিত অর্থ সেখানেই রেখেছিল। সম্প্রতি সে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানিয়েছিল আগামী এক মাসের মধ্যে দেশে আসবে। তার মৃত্যুর পর টাকা-পয়সার বিষয়টি আড়াল হয়ে গেছে। অর্থের লোভেই কেউ হত্যা করতে পারে। যেভাবে লাশের পা মাটিতে লেগে আছে তাতে একটি মানুষ ফাঁসিতে ঝুলে মরতে পারেনা। কেউ তাকে মেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝৃুলিয়ে রেখেছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে দুলালের হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ দ্রæত লাশ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা।