কুবিতে শিক্ষকদের নির্বাচনে দুইটি নির্বাচন কমিশন!

 

inside post

আমোদ প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের কমিশন গঠন হওয়ার তিন দিন পর পাল্টা নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে একাংশ। এদিকে গত ৩০ নভেম্বর গঠিত নির্বাচন কমিশনকে একমাত্র বৈধ কমিশন দাবি করে কার্যনির্বাহী পরিষদের ১৫ জনের মধ্যে আটজন স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবাদলিপি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশ করেছে শিক্ষক সমিতি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কার্যনির্বাহী কমিটি সকল শর্ত মেনে সাধারণ সভার সকল শিক্ষকের মতামতের ভিত্তিতে ৩০ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন গঠন করে। এ বিজ্ঞপ্তিতে তারা ৩ ডিসেম্বরের নির্বাচন কমিশনকে অবৈধ ঘোষণা করেন।

সূত্র জানায়, গত ৩০ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় ১৩ ডিসেম্বর নির্বাচন করার জন্য রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. রায়হান উদ্দিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে কমিশন গঠন করা হয়। সেই নির্বাচন কমিশন গত ২ ডিসেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

এরপর বৃহস্পতিবার সমিতির একাংশ গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল হককে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে পাল্টা একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে। শিক্ষক সমিতির একাংশের গঠিত এ নির্বাচন কমিশনও ১৩ ডিসেম্বর নির্বাচন করার ঘোষণা দেন।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি রশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রের ধারা অনুযায়ী ১৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হয়। তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে ৩০ নভেম্বর গঠন হওয়া কমিশনকে উপেক্ষা করে অবৈধভাবে আরেকটি কমিশন গঠন করে।’
শিক্ষক সমিতির একাংশের নেতৃত্ব দেওয়া বর্তমান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘তারা সাধারণ সভার এক ঘন্টার ব্যবধানে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা ডেকেছেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যেখানে অন্তত ছয় ঘন্টা ব্যবধান থাকার কথা। এটা গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।’

এদিকে শিক্ষক সমিতির পাল্টাপাল্টি নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়টি শিক্ষকদের জন্য বিব্রতকর বলে দাবি করেছেন কয়েকজন শিক্ষক। একইদিনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে কে কোথায় ভোট দেবে এ নিয়েও সিদ্ধান্তহীনতায় তারা। এছাড়া একই স্থানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, ‘ তাদের দুই পক্ষেরই উচিত সাধারণ সভা ডেকে সকল শিক্ষকের মতামতের ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া। ’

আরো পড়ুন