ওয়ার্ল্ড কারাতে ফেডারেশনের কোচেস লাইসেন্স প্রাপ্ত হন কুমিল্লার শুভ  

অফিস রিপোর্টার।। 
সম্প্রতি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড কারাতে ফেডারেশনের কোচেস লাইসেন্স পরীক্ষায় বাংলাদেশ থেকে এই প্রথম দুইজন কোচেস লাইসেন্স প্রাপ্ত হন। এদের মধ্যে একজন কুমিল্লা ড্রাগন কারাতে এসোসিয়েশনের প্রধান প্রশিক্ষক সেন্সি এস ইসলাম শুভ। তার এই অর্জনে শনিবার (৪ নভেম্বর) রাতে কুমিল্লা স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ড্রাগন কারাতে এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
এস ইসলাম শুভ বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের কোচ ও রেফারি, বাংলাদেশ কারাতে রেফারি কমিশনের সদস্য। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশে এশিয়া কারাতে ফেডারেশনের ৮জন জার্জের মধ্যে একজন। কান্টিডিরেক্টর হিসেবে দায়ীত্ব পালন করছেন সিতোরিউ সিন্ন্যকাই কারাতে-দো সিঙ্গাপুর এবং ইন্টারন্যাশনাল শেইসিন-রিউ জাপান। তিনি এ পেশায় যুক্ত হন ১৯৯০ সাল থেকে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা ড্রাগন কারাতে এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল ইসলাম জানু ,সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম মজুমদার, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থা এর সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা জেলা কারাতে এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রুমেন, সহসভাপতি স ম শফিকুর রহমান শফি, মোস্তাক আহমেদ হুমায়ুন, ইকবাল হোসেন, ফখরুল আরেফিন মামদু, বাবুল মিয়া রানা, কামরুল হাসান ছোটল, মনিরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মাহাবুবুল হক বাবু প্রমুখ।
কুমিল্লা ড্রাগন কারাতে এসোসিয়েশন এর প্রধান প্রশিক্ষক এস ইসলাম শুভ বলেন, স্থানীয় মানুষ আগে ভাবতেন কারাতে শুধুই ফিল্ম ও আত্মরক্ষার্থে কাজে আসে। কিন্তু এখন এই দৃষ্টিভঙ্গির অনেকটা পরিবর্তন এসেছে। কারাতে আন্তর্জাতিক স্পোর্টস এবং সম্প্রতি অলম্পিক গেমস এ যুক্ত হয়েছে। এ জন্যই কুমিল্লায় কারাতে জনপ্রিয়তা বাড়ছে এবং অভিভাবকরা নিজেদের সন্তানকে কারাতে শিক্ষার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে। বর্তমানে কুমিল্লার এই সংগঠনে নারী-পুরষ মিলিয়ে প্রায় ৫ শতাধিক প্রশিক্ষনার্থী রয়েছে। সাথে আছে  বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশন এর ব্লাক বেল্ট প্রাপ্ত ৪৫ জন প্রশিক্ষক।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৯ সালে কুমিল্লা ড্রাগন কারাতে এসোসিয়েশন  গঠনের পর থেকে কুমিল্লার বিভিন্ন স্কুল, কলেজে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে সংগঠনটি। বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও কারাতে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সংগঠনটির প্রতিনিধিরা। এই সব শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণ গ্রহন করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো ফলাফল আর্জন করছে।
২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ২৫০টি মেডেল পেয়েছেন তারা। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির মাঝেও জুম বা গুগল মিটে ভিডিও কলে দেশ জুরে প্রশিক্ষণ পরিচালনা হয়। এ সময়য়ের মধ্যে নেপাল, ইন্ডিয়া, শ্রীলংকা, মালোশিয়া সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে অনলাইন কারাতে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ৭৫টি একক পদক অর্জন করেছেন।