কক্সবাজার থেকে ইকবাল কুমিল্লায়

অফিস রিপোটার।।

কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে নেওয়ার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক ইউনিট। এর আগে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ইকবালকে বহন করা পুলিশের গাড়ি কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে পৌঁছায়। ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে তাকে নিয়ে আসা হয় কুমিল্লায়। এরপর সাড়ে ১২টা তাকে পুলিশ লাইন্সে হেলমেট ও বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরা অবস্থায় সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকায় ঘোরাফেরা করার সময় ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের একটি দল আটক করে। এর আগে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহান সরকারের নেতৃত্বে তাকে আনতে কক্সবাজার যায়। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে জেলা পুলিশের এ টিম ইকবালকে কুমিল্লায় আনতে রওয়ানা দিয়ে ভোরে কক্সবাজার পৌঁছে। কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে নিয়ে শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে কুমিল্লার পথে যাত্রা শুরু করে পুলিশের ওই টিম। নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সেই ইকবালকে ঘটনার পর থেকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ইকবালকে কুমিল্লায় আনা হয়েছে। তাকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমরা সিসিটিভিতে যে ইকবালকে শনাক্ত করে ছিলাম এই সেই ইকবাল।

উল্লেখ্য-গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘির পাড়ের একটি অস্থায়ী মণ্ডপে হনুমানের মূর্তির কোলের ওপর কোরআন শরিফ পাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।