কড়ইবাড়ির নিরীহ গ্রামবাসীকে হয়রানির অভিযোগ

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামে মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে তিনজন গণপিটুনিতে মারা যান। এ ঘটনায় ওই গ্রামের নিরীহ মানুষদের ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আসামি করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে গ্রামবামী মঙ্গলবার কড়ইবাড়ি স্টেশনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়ায় কয়েক শতাধিক নারী ও শিশু এই বিক্ষোভে অংশ নেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় , মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামে জানরোষের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে এক ছেলে ও এক মেয়েসহ নিহত হন মাদক ব্যবসায়ী রুবি আক্তার। নিহতের পর রুবি আক্তারের বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ২৫ জনের নামে ও অজ্ঞাত ১৩ জনকে আসামি দিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৯ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। রিমান্ডে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী হত্যায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ২৫ নম্বর আসামি শাহ আলম চেয়ারম্যানকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পুরো গ্রাম গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ট্রিপল মার্ডারের ঘটনাটি নিয়ে একটি পক্ষ ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। প্রকৃত অপরাধী ছাড়াও নিরীহ গ্রামবাসীকে হয়রানি করছে। এতে করে আতঙ্কে গত এক মাস ধরে পুরুষ শূন্য কড়ইবাড়ি গ্রাম।
গ্রামের নারী সালমা আক্তার, জমিলা বেগম ও জাহেদা খাতুন বলেন, একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি বিনা অপরাধে বাড়ি ছাড়া। এতে পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আমরা চাই যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের বিচার হোক, কিন্তু গ্রামের সকলকে যেন হয়রানি না করা হয়। তারা আরো বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের পরিবার বিভিন্ন সময়ে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে, অন্যদিকে গ্রাম পুরুষশূন্য থাকায় চুরি ডাকাতিরও আশঙ্কা রয়েছে।
