কাগজ-কালির দাম বৃদ্ধিতে হুমকির মুখে কুমিল্লার মুদ্রণশিল্প

সাইফুল ইসলাম সুমন।।
ছাপা সামগ্রীর দাম বৃদ্ধিতে সংকটে পড়েছে মুদ্রণশিল্প। করোনার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতে দিন দিন বেড়েই চলেছে কাগজ, কালি ও কেমিক্যালের দাম। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে মুদ্রণ শিল্প।
রাজধানীর বাইরে কুমিল্লায় মুদ্রণশিল্পের একটি প্রভাব রয়েছে। কুমিল্লা নগরীতে শতাধিক ছাপাখানা রয়েছে, ছাপা সামগ্রীর দাম বাড়ায় বর্তমানে সেগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
কুমিল্লা নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় কয়েকটি ছাপাখানা ঘুরে দেখা যায়, আগের তুলনায় তাদের ব্যস্ততা নেই বললেই চলে। কাগজের দাম বৃদ্ধি ও ডিজাইন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার প্রভাবে মুদ্রণশিল্পে ধ্বস নেমে এসেছে। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত কিছুটা ব্যস্ততা থাকলেও বছরের বাকি সময় অবসরেই কাটাতে হয় তাদের। এতে করে বেশির ভাগ ছাপাখানার অচল অবস্থা।
ডলারের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাবে কাগজ, কালি, প্লেট ও কেমিক্যালের দ্বিগুণেরও বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কাজ কমিয়ে দিয়েছেন গ্রাহকরা। এ শিল্প টিকিয়ে রাখতে ছাপা সামগ্রীর দাম কমানোর দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
রিগ্যাল ডিজিটাল সাইন এন্ড প্রিন্টিংয়ের স্বত্তাধিকারী এম.এ সাঈদ বলেন, প্রিন্টিং ব্যবসা বর্তমানে অনলাইন ভিত্তিক হয়ে পড়েছে। যেকোন কাজই ডিজাইন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে দেয়। এতে করে আর গ্রাহকদের পোস্টার, ব্যানার প্রিন্ট করতে হয়না। করোনার পূর্বে নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে যে পরিমাণ কাজের অর্ডার হত বর্তমানে তা অর্ধেকেরও কমে নেমে আসছে। কাজের অর্ডার নেই বলে আমি আমার ডিজিটাল প্রিন্ট মেশিন লোকসানে বিক্রি করে দিয়েছি।
চান্দিনা পেপার হাউজের ম্যানেজার মো. ইউসুফ বলেন, করোনার পর থেকেই পেপারের ব্যবসার অবস্থা মন্দা। আগে যে পরিমাণ পেপার বিক্রি হত এখন অনেকটাই কম।
আতিক ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেসের স্বত্ত্বাধিকারী শরীফুল ইসলাম বলেন, কাগজ, কালি ও কেমিক্যালের দাম যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে সে অনুযায়ী ব্যবসা হয় না। যেহেতু আমাদের দেশে কাগজ উৎপাদন হচ্ছে সেহেতু কাগজের দাম কমিয়ে আনলে আমরা এ ব্যবসায় টিকে থাকতে পারবো।