চোখ জুড়ানো ফুল বাড়িতে দর্শনার্থীদের ভিড়

অফিস রিপোর্টার।।
বাড়িতে ১২ রকমের ফুল,৭০ রকমের ফলের গাছ ও ১৫ রকমের সবজির চাষ করা হয়েছে। ফুল তার সৌন্দর্য মেলে ধরেছে। গাঁদা,হাসনা হেনা,রজনীগন্ধা,গোলাপ ফুল সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে। বেশি সৌন্দর্য ছড়িয়েছে চার ধরণের গাঁদা ফুল। বাড়ির সৌন্দর্য দেখতে আশপাশের গ্রামের লোকজন ভিড় করছে। কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার খটকপুর গ্রামে এই বাড়ির অবস্থান। তিন বিঘা পরিমাণ চোখজুড়ানো বাড়িটির মালিক প্রবাসী ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। বাড়ির নাম খলিল হাউজ। তবে স্থানীয়রা বাড়িটিকে ‘ফুল বাড়ি’ নাম দিয়েছেন। এই বাড়ির ফুল, ফল ও সবজি চাষ দেখে পাশের গ্রামের অনেকে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।


বাড়িটিতে গিয়ে দেখা যায়,বাড়ির গেইট থেকে ফুলের পসরা বসেছে। ফুলের গায়ে ঘুরে ঘুরে বসছে মৌমাছি। ফলের বাগান থেকে ভেসে আসছে পাখির ডাক। ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ডুপ্লেক্স বাড়িটির সৌন্দর্য বাড়িয়েছে ফুলের বাগান। বাড়ির সামনের হেলিপ্যাড,পানির ফোয়ারা,সুইমিং পুল, বৈঠকখানার পাশে ফুলের মেলা বসেছে। বাড়ির পশ্চিম অংশে আম,জাম,মাল্টা, ডালিম,সফেদা,তেঁতুল,আমলকিসহ বিভিন্ন ফলের বাগান। সাথে রয়েছে বিষমুক্ত লাউ,কুমড়া,বাঁধাকপি,ফুলকপি,লাল শাক,ডাটা শাকসহ বিভিন্ন রকমের সবজির চাষ।
কুমিল্লা থেকে বাড়িটি দেখতে যাওয়া কালিপদ দেবনাথ ও জাবেদ খান বলেন, গ্রামে এত সুন্দর বাড়ি নিজ চোখে না দেখলে বিশ^াস হবে না। ফুলের বাগান বাড়ির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে।
বাড়ির মালিক স্থানীয় ভবানীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন,বিদেশে ব্যবসা করলেও আমার মন গ্রামে পড়ে থাকে। তাই নিজ গ্রামে বাড়িটি করি। গ্রামে শহরের সুবিধা নিশ্চিতের চেষ্টা করেছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতে ফুল, ফল ও সবজির চাষ করেছি। নিজেরা বিষমুক্ত সবজি খেতে পারছি,সাথে আত্মীয়দের দিতে পারছি।
স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার ভুঁইয়া বলেন, চার বছর আগে প্রবাসী মালিক বাড়িটি সাজাতে পরামর্শ চান। সে নিরিখে আমরা পরামর্শ দেই। এই বাড়ির ফুল, ফল গাছ ও সবজি চাষ দেখে অনেকে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।